HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফেক নিউজNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইলNo Image is Available
শরীর স্বাস্থ্যNo Image is Available
HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফেক নিউজNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইলNo Image is Available
শরীর স্বাস্থ্যNo Image is Available
ফেক নিউজ

ইসরাইলের জাতীয় সংগীত চলাকালে মুখ ঘুরিয়ে নেননি আইরিশ ফুটবলাররা

বুম বাংলাদেশ দেখেছে, আয়ারল্যান্ডের জাতীয় সংগীত বাজানোর সময় দেশটির ফুটবলাররা জাতীয় পতাকার দিকে মুখ ঘুরিয়ে নেন।

By - Mamun Abdullah | 1 March 2024 3:54 AM GMT

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক গ্রুপ ও পেজে ইসরাইল ও আয়ার‌ল্যান্ডের নারী ফুটবল দলের ম্যাচ শুরুর আগে জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময়ের একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, ইসরাইলের জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় আইরিশ মেয়েরা মুখ ঘুরিয়ে নেন। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি 'BPL 2024' নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে 'MD Juwel Shikder' আইডি থেকে পোস্ট করে ক্যাপশনে বলা হয়, "আইরিশ জাতীয় মহিলা দলের খেলোয়াড়রা ইসরায়েলের জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন মাঠে উল্টোদিক করে দাঁড়িয়ে আছে, যা হিব্রু মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। ব্রাভো আইরিশ প্রমিলা ফুটবল দল।" নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন-- 



ফ্যাক্ট চেক:

বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য দাবিটি সঠিক নয়। মূলত আয়ারল্যান্ডের জাতীয় সংগীত চলাকালে দেশটির নারী ফুটবলাররা দেশের জাতীয় পতাকার দিকে মুখ ঘুরিয়ে নেন।

ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে আইরিশ সংবাদমাধ্যম 'The Irish Times'-এ "FAI clarify confusion as Ireland U17s mistakenly accused of turning backs on Israeli flag" শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, "আলবেনিয়ার রাজধানী তিরানে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল আয়ারল্যান্ড ও ইসরায়েলের অনূর্ধ্ব–১৭ নারী ফুটবল দল। এই ম্যাচ ঘিরে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সাংবাদিক অভিযোগ তোলেন যে, ম্যাচ শুরুর আগে আইরিশ মেয়েরা ইসরায়েলের জাতীয় সংগীত বাজানোর সময় উলটো দিকে ফিরে ছিলেন। তবে তাঁদের এই অভিযোগ সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে ওই সময় আয়ারল্যান্ডের জাতীয় সংগীত ‘Amhrán na bhFiann (আমহরান না ভফিয়ান)' বাজানো হচ্ছিল। ঐতিহ্য অনুসারে আইরিশ মেয়েরা ওই সময় তাঁদের মুখ আয়ারল্যান্ডের পতাকার দিকে ঘুরিয়ে নেন।" স্ক্রিনশট দেখুন-- 


কি-ওয়ার্ড সার্চ করে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান ফুল ফ্যাক্ট-এ "Ireland’s U17 women’s football team didn’t turn away during Israeli national anthem" শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, আইরিশ মেয়েদের ইসরায়েলের জাতীয় সংগীত বাজানোর সময় পিঠ প্রদর্শনের দাবিটি সঠিক নয়। ওই সময় মূলত আয়ারল্যান্ডের জাতীয় সংগীত বাজানো হচ্ছিল এবং আইরিশ মেয়েরা তাঁদের ঐতিহ্য অনুসারে নিজেদের পতাকার দিকে মুখ ঘুরিয়ে ছিলেন। স্ক্রিনশট দেখুন-- 


ফুল ফ্যাক্ট- এর প্রতিবেদনের সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে আলবেনীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ইউটিউব চ্যানেল এফএসএইচএফেআয়ারল্যান্ড ও ইসরায়েলের অনূর্ধ্ব-১৭ নারী ফুটবল দলের মধ্যে পুরো ম্যাচের ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, ২ মিনিট থেকে সাড়ে ৫ মিনিট সময় পর্যন্ত দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। এরমধ্যে প্রথমে ইসরায়েলের জাতীয় সংগীত বাজানো হয় এবং এই সময় দুই দেশের খেলোয়াড়েরা একই দিকে মুখ করে ছিলেন। জাতীয় সংগীত শেষে ইসরায়েলি খেলোয়াড়দের সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের মেয়েদেরও হাততালি দিতে দেখা যায়। এরপরই আয়ারল্যান্ডের জাতীয় সংগীত বেজে ওঠে এবং আইরিশ মেয়েরা উল্টো দিকে ঘুরে দাঁড়ান। ভিডিওটি দেখুন-- 

 Full View


অর্থাৎ ইসরায়েলের জাতীয় সংগীত নয় বরং আয়ারল্যান্ডের জাতীয় সংগীত বাজানোর সময় আয়ারল্যান্ডের মেয়েরা ঐতিহ্য অনুসারে পতাকার দিকে মুখ করে ঘুরে দাঁড়ান।

প্রসঙ্গত ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটে বেসামরিক নাগরিকদের সহায়তার জন্য ইউরোপের অন্যতম দেশগুলোর মধ্যে আয়ার‌ল্যান্ড প্রথম যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছিল। দেশটি সবসময়ই ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলে আসছে। গাজায় ইসরায়েলের চলমান নৃশংসতার সমালোচনা করতেও দেখা যায় আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট লিও ভারকডারকে। তিনি ইসরায়েলের বোমাবর্ষণকে জেনেভা কনভেনশনের আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

সুতরাং আইরিশ মেয়ে ফুটবলাররা ইসরায়েলের জাতীয় সংগীত বাজানোর সময় মুখ ঘুরিয়ে দাঁড়িয়েছিল বলে যে দাবি পোস্ট করা হচ্ছে ফেসবুকে, তা বিভ্রান্তিকর।

Related Stories