একই সঙ্গে অতিরিক্ত ৬০ ভাগ ভাড়াও বাতিল করা হবে।
বুধবার বিআরটিএর বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানা গেছে।
বুধবার বিকালে বিআরটিএর চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে বৈঠকে মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধি, ডিএমপি, হাইয়ে পুলিশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন সিদ্ধান্ত অনযায়ী, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বর্ধিত ভাড়া এবং পাশাপাশি দুই সিটের একটি খালি রাখেই বাস চলবে। সেপ্টেম্বরের এক তারিখ থেকে করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার আগে যেমন ভাড়া ছিলো সেই ভাড়া চালু হবে। পাশাপাশি সিটে বসলেও যাত্রীদের অবশ্যই মাস্ক পারতে হবে।'' ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বাস মালিকরা প্রস্তাবনা পেশ করলেও বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত এখনও নেয়া হয়নি। তবে গত রোববার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি কর্তৃক সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় বরাবর করোনা পূর্ববর্তী সময়ের মতো বাসের সকল আসন পূর্ণ করে ও পূর্বের ভাড়া অনুযায়ী বাস চালানোর দাবী জানিয়ে চিঠি দেয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকেও একই প্রস্তাব দিয়েছেন পরিবহন মালিকেরা। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিবহন মালিকদের প্রস্তাবটি প্রথমে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে যাবে। সেখান থেকে মন্ত্রিপরিষদে যাবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকেই আসবে।
ইত্তেফাকের বুধবারের রিপোর্টে বলা হয়েছে--
"করোনাকালীন সময় শর্তসাপেক্ষে বর্ধিত ভাড়ায় গণপরিবহন চালু করেছিল সরকার, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সেই ভাড়ার পরিবর্তে আগের ভাড়া কার্যকর করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
সেই প্রস্তাব পেয়ে আগামী ৩১ আগস্টের পর গণপরিবহন আর বর্ধিত ভাড়া নেয়া যাবে না- এমনকি প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদে প্রস্তাবনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।"
জাতীয় দৈনিক
প্রথম আলো ও
সমকালের অনলাইনে
ও এ সংক্রান্ত
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রস্তাব পেশ করা হলেও এখনও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। দেখুন এখানে ও এখানে।
অর্থাৎ, 'বাসের বর্ধিত ভাড়া বাতিলের সিদ্ধান্ত' বলে প্রচারিত খবরটি বিভ্রান্তিকর।