সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি ও পেজ থেকে একটি আহত ও দগ্ধ অবস্থায় এক শিশু বসে থাকার একটি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, সম্প্রতি ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজের একটি ভবনে একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর আহত শিশুর অবস্থা। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ২২ জুলা্ই ‘Shahruk Shuvo’ নামক একটি আইডি থেকে ছবিটি পোস্ট করে উল্লেখ করা হয়, “এটা গাজা নয়,এটা বাংলাদেশের দৃশ্য।” নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে আলোচ্য ছবিটি সম্প্রতি ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজে যুদ্ধ বিমান দুর্ঘটনার পর আহত ও অগ্নিদগ্ধ শিশুর নয় বরং এটি ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজার আল শিফা হাসপাতালে ইসরাইলের বোমা হামলার পর আহত শিশুর ছবি।
ভাইরাল ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে “As Warnings of Crisis in Gaza Mount, Palestinians Struggle to Find Room for the Dead” শিরোনামে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ‘The New York Times’ পত্রিকার অনলাইনে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ২০২৩ সালের ১২ অক্টোবর প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রকাশিত ছবির সঙ্গে ফেসবুকে আলোচ্য দাবিতে প্রচারিত ছবিটির সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। যেখানে বলা হয়, বৃহস্পতিবার গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমানের বোমা হামলার পর আহত ব্যক্তিরা। স্ক্রিনশট দেখুন--
পাশাপাশি, রিভার্স ইমেজ সার্চ করে “Israel’s hospital attacks have put Gaza healthcare on brink of collapse, says UN” শিরোনামে আয়ারল্যান্ডের সংবাদ মাধ্যম ‘The Irish Times’ এর ওয়েবসাইটেও একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রকাশিত ছবিটির সঙ্গেও ফেসবুকে প্রচারিত ছবিটির সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১২ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালে আহত শিশু। স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ ভাইরাল ছবিটি উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় আহত শিশুর নয় বরং এটি ২০২৩ সালে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আহত শিশুদের একটি ছবি।
সুতরাং ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার দাবি করে ফিলিস্তিনের গাজার পুরোনো ছবি প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।