সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে কিছু সংখ্যক ব্যক্তির ভিতরে সংঘর্ষের একটি ভিডিও শেয়ার করে বলা হচ্ছে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের ভিতরে সংঘর্ষ বাঁধে। এরকম কয়েকটি ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর 'S M Mohabbat Ali' নামে একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে ভিডিওটি পোস্ট করে বলা হয়, "যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে আওয়ামীলীগ বিএনপির ব্যপক মারামারি,,সুদখোর হঠাও দেশ বাঁচাও,,"। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ দাবি করা হচ্ছে, আলোচ্য সংঘর্ষের ভিডিওটি সম্প্রতি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময়ে ধারণ করা।
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য দাবিটি বিভ্রান্তিকর। আলোচ্য ভিডিওটি সাম্প্রতিক নয়। ২০২৩ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সমর্থক এবং আওয়ামী লীগের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। আলোচ্য ভিডিওটি ওইসময়ে ধারণ করা হয়।
আলোচ্য ভিডিওটি সম্পর্কে জানতে আলোচ্য ভিডিওটি থেকে কি-ফ্রেম কেটে নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে "ওয়াশিংটনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে মারামারি | USA AL BNP Fight | Jamuna TV" শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিওতে আলোচ্য ভিডিওর মত দৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিও প্রতিবেদনে বলা হয়, "বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। একই স্থানে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগৎ জানিয়ে সমাবেশ করেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এতে দুদলেরই বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় ওয়াশিংটন পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটকও করা হয়।" ইউটিউব ভিডিওটি দেখুন--
এছাড়াও, নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত অনলাইন পোর্টাল চলমান নিউইয়র্ক, দৈনিক পত্রিকা প্রতিদিনের বাংলাদেশের ইউটিউব চ্যানেল এবং মানবজমিনের অনলাইন ভার্সনে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও জানা যায় একই তথ্য।
অর্থাৎ আলোচ্য ভিডিওটি সাম্প্রতিক নয়। ২০২৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আলোচ্য ভিডিওটি ধারণ করা হয়।
সুতরাং ২০২৩ সালের বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সংঘর্ষের ভিডিওকে নতুন করে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।