সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করে বলা হচ্ছে, প্রবল বর্ষণের কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপর দিয়ে পানি স্রোতে পরিবহন ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এরকম কয়েকটি ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ৩০ মে 'তাকিব বিন সিরাজ জর্জ' নামে একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলা হয়, "প্রবল বর্ষণের কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপর দিয়ে পানি স্রোতে পরিবহন ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে🥲🥲"। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের দাবিটি সঠিক নয়। আলোচ্য ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়। মিয়ানমারের ম্যান্ডালি অঞ্চলের থংদা শহরে পানির স্রোতে একটি বাস ভেসে যাওয়ার সময়ে ভিডিওটি ধারণ করা হয়।
২০২৫ সালের ২৭ মে মিয়ানমার থেকে পরিচালিত গণমাধ্যম 'The Irrawaddy'-তে গত ২৭ মে "Passenger Bus Swept Away by Floods in Mandalay (ম্যান্ডালিতে বন্যায় যাত্রীবাহী বাস ভেসে গেলো)" শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে আলোচ্য ভিডিওটির মত একটি ভিডিও সম্বলিত ইউটিউব ভিডিও যুক্ত করা হয়। স্ক্রিনশট দেখুন--
পরবর্তীতে, উপরের প্রতিবেদনের সূত্রে 'The Irrawaddy' নামে ওই ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৭ মে "Passenger Bus Swept Away by Floods in Mandalay" শিরোনামে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। আলোচ্য ভিডিওটির একটি দীর্ঘ ভার্সনের ওই ভিডিওটির ব্যাপারে বলা হয়, "A bus with over 40 passengers on board was swept away while crossing the flooded Sintewa Creek along the Myingyan–Taungtha road in Mandalay Region. All passengers were safely rescued. (ম্যান্ডালি অঞ্চলের মিংগান-থংদা সড়ক ধরে প্লাবিত সিন্তেওয়া খাল পার হওয়ার সময় ৪০ জনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে একটি বাস ভেসে যায়। সকল যাত্রীকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।)" ইউটিউব ভিডিওটি দেখুন--
পরবর্তীতে গণমাধ্যমটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও আলোচ্য ভিডিওটির একটি বড় ভার্সন খুঁজে পাওয়া যায়। ফেসবুক পোস্টটি দেখুন--
এছাড়াও মিয়ানমারভিত্তিক অনলাইন পোর্টাল এলিভেন মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডভিত্তিক অনলাইন পোর্টাল দি ন্যাশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও জানা যায় একই তথ্য।
অর্থাৎ আলোচ্য পোস্টের দাবিটি সঠিক নয়। আলোচ্য ভিডিওটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নয় বরং মিয়ানমারের ম্যান্ডালি অঞ্চলের থংদা শহরে পানির স্রোতে একটি বাস ভেসে যাওয়ার সময়ে ভিডিওটি ধারণ করা হয়।
সুতরাং মিয়ানমারের পানির স্রোতে বাসের ভেসে যাওয়ার ভিডিওকে বাংলাদেশের ভিডিও বলে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে যা বিভ্রান্তিকর।