HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফেক নিউজNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইলNo Image is Available
শরীর স্বাস্থ্যNo Image is Available
HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফেক নিউজNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইলNo Image is Available
শরীর স্বাস্থ্যNo Image is Available
ফেক নিউজ

পিঠে গলন্ত প্লাস্টিক ফেলার ঘটনাটি ভারতে মুসলিম নির্যাতনের নয়

বুম বাংলাদেশ দেখেছে, আলোচ্য ভিডিওতে ভিন্ন অডিও ব্যবহার করে ভারতীয় মুসলিম ব্যক্তির উপরে নির্যাতনের বলে দাবি করা হচ্ছে।

By - Ummay Ammara Eva | 16 Aug 2025 1:05 AM IST

সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে এক ব্যক্তির পিঠে গলন্ত প্লাস্টিকের ফোঁটা ফেলে নির্যাতনের একটি ভিডিও শেয়ার করে বলা হচ্ছে, ঘটনাটি ভারতে মুসলিম নির্যাতনের। এরকম কয়েকটি ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানেএখানেএখানে

কয়েক ঘন্টা আগে 'Mohammad Salamot' নামে একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে ভিডিওটি পোস্ট করে বলা হয়, "ছড়িয়ে দিন বিশ্ব মুসলিম দেখুক!! ভার*তের অগ্রবাদীরা আগু*নের লারা দিয়ে মুসলিমদেরকে নির্যাত*নের ভয়ানক দৃশ্য,, আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুক।" উক্ত ভিডিওটির অডিওতে হিন্দি ভাষায় কাউকে বলতে শোনা যায়, "আল্লাহু আকবর বলছিলি না? এবার দ্যাখ কেমন লাগে! জয় শ্রী রাম বল, জয় শ্রী রাম। জোরসে বল!"। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--



ফ্যাক্ট চেক:

বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য পোস্টে যুক্ত ভিডিওটি এডিটেড। মূল ভিডিওটির উপরে ভিন্ন একটি অডিও বসিয়ে আলোচ্য ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও, আলোচ্য ভিডিওটির ঘটনাটি ভারতের নয় বরং এটি আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর।

আলোচ্য ভিডিওটি সম্পর্কে জানতে ভিডিওটি থেকে কি-ফ্রেম কেটে নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে 'Ishimwe Heritier' নামে একটি এক্স (সাবেক টুইটার) একাউন্ট থেকে ২০২৪ সালের ৬ জুন করা একটি পোস্টে আলোচ্য ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। অডিওবিহীন উক্ত ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়, "Les crimes effroyables commis par le gouvernement du président #Tshisekedi et les forces génocidaires du régime de #RDCongo-Kinshasa, désormais intégrées à l'armée, comme la récente torture devant la caméra d'un natif du Kivu, impactent profondément la vie du peuple congolais, surtout les enfants qui sont souvent témoins de ces atrocités. Lorsque de tels actes sont commis en plein jour et enregistrés devant une caméra, cela signale une grave crise nationale. C’est pourquoi le mouvement M23 reste résolu. Malheureusement, @hrw ne parlera jamais du sort de ces Tutsis congolais innocents. (রাষ্ট্রপতি শিসেকেদির সরকার এবং #DRCongo-Kinshasa শাসনের গণহত্যাকারী বাহিনী, যারা এখন সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত, তাদের দ্বারা সংঘটিত ভয়াবহ অপরাধ, যেমন কিভুর একজন আদিবাসীর উপর ক্যামেরায় সাম্প্রতিক নির্যাতন, কঙ্গোর জনগণের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে, বিশেষ করে শিশুরা যারা প্রায়শই এই নৃশংসতা প্রত্যক্ষ করে। যখন এই ধরনের কাজ প্রকাশ্য দিবালোকে করা হয় এবং ক্যামেরায় ধারণ করা হয়, তখন এটি একটি গুরুতর জাতীয় সংকটের ইঙ্গিত দেয়। এই কারণেই M23 আন্দোলন দৃঢ় থাকে। দুঃখের বিষয়, @hrw কখনও এই নিরীহ কঙ্গোলিজ তুতসিদের ভাগ্য নিয়ে কথা বলবে না। ( ফরাসি থেকে গুগলের সাহায্যে অনূদিত)"। স্ক্রিনশট দেখুন--



পরবর্তীতে আরো সার্চ করে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে পরিচালিত গণমাধ্যম 'Prime Time News za'-এর ফেসবুক পেজে করা একটি রিলভিডিওতে আলোচ্য ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়, "Viral video shows man melting plastic onto another. Unconfirmed reports suggest the man lying down is a known troublemaker (ভাইরাল ভিডিওতে এক ব্যক্তিকে আরেক ব্যক্তির উপরে গলিত প্লাস্টিক ফেলতে দেখা যাচ্ছে। অসমর্থিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে শুয়ে থাকা ব্যক্তিটি একজন পরিচিত সমস্যা সৃষ্টিকারী।)"। এই ভিডিওটির অডিও এবং আলোচ্য ভিডিওটির অডিও ভিন্ন। Prime Time News za-এর ভিডিওটিতে এক ব্যক্তিকে আফ্রিকান এক্সেন্টের ইংরেজিতে বলতে শোনা যায়, "আমি আমার টাকা ফেরত চাই, বন্ধুরা! ২৫০০০০ টাকা কোনো মজার কথা নয়! (ইংরেজী অনূদিত)"। এসময়ে নির্যাতিত ব্যক্তিকেও ইংরেজিতে বলতে দেখা যায়, "আমাকে ক্ষমা ভিক্ষা দাও। আমাকে ক্ষমা ভিক্ষা দাও"। স্ক্রিনশট দেখুন--



এছাড়াও Put South Africans first নামে আরেকটি এক্স পোস্টেও একই রকম তথ্যসহ আলোচ্য ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়।

অর্থাৎ আলোচ্য পোস্টে দেখানো ভিডিওটি এডিটেড। এক ব্যক্তির উপরে নির্যাতনের ভিডিওতে এডিট করে ভিন্ন অডিও বসিয়ে আলোচ্য ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া ভিডিওটি ভারতের নয় বরং কঙ্গোর ঘটনার।

সুতরাং গলন্ত প্লাস্টিক পিঠে ফেলে ব্যক্তিকে নির্যাতনের কঙ্গোতে ধারণকৃত ভিডিওকে ভারতের ঘটনার ভিডিও বলে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।

Tags:

Related Stories