HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফেক নিউজNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইলNo Image is Available
শরীর স্বাস্থ্যNo Image is Available
HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফেক নিউজNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইলNo Image is Available
শরীর স্বাস্থ্যNo Image is Available
ফেক নিউজ

২০১৮ সালের নির্বাচন সংক্রান্ত খবর পুনরুৎপাদন দৈনিক জনকণ্ঠে

বাংলাট্রিবিউনের প্রায় দুই বছর আগের এক প্রতিবেদনের বিভিন্ন অংশ হুবহু প্রকাশ করা হয়েছে জনকণ্ঠের এই রিপোর্টে।

By - Qadaruddin Shishir | 27 Sep 2020 10:51 AM GMT

গত ২৪ সেপ্টেম্বর (২০২০) দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ছিলো, "ক্ষমতা দখলের চক্রান্ত ॥ জেদ্দায় বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে গোপন বৈঠক"।

জনকণ্ঠের ই-পেপারে পত্রিকাটির ওই দিনের প্রথম পাতাটি দেখুন নিচের স্ক্রিনশটে--


ওই দিনের ই-পেপারের প্রথম পাতার লিংক আর্কাইভ করা আছে এখানে

জনকণ্ঠের ওয়েবসাইট www.dailyjanakantha.com- এ প্রতিবেদনটি পড়ুন এই এখানে। আর্কাইভ করা আছে এখানে

জনকণ্ঠের প্রতিবেদনের প্রথম দিকের কিছু অংশ এখানে হুবহু তুলে ধরা হলো--

"জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনও তিন বছর বাকি থাকতেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের জন্য বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) গভীর ষড়যন্ত্রের তথ্য উদঘাটন করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। সৌদি আরবের জেদ্দায় বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর এক গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শীর্ষ নেতা। বাংলাদেশে পাকিস্তানী এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য আগামী নির্বাচনে তিন শ' আসনে বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থীর তালিকা তৈরি করে দিয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। গত ৩২ মাসে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে অন্তত ২০টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের। গোয়েন্দা সংস্থার হাতে এসেছে সাড়ে তিন ঘণ্টার শতাধিক ফোনালাপ রেকর্ড। এসব রেকর্ডের মধ্যে আছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেনের সঙ্গে পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থার দুবাইভিত্তিক এজেন্ট পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদ মেহমুদের ফোনালাপ। পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর দুবাইভিত্তিক এজেন্ট দুবাইয়ে বসবাসকারী শহীদ মেহমুদের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃবৃন্দের যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যম হচ্ছেন বিএনপির দুবাই শাখার সভাপতি সিলেটের জকিগঞ্জের অধিবাসী জাহিদ হাসান। জামায়াতের সভাপতি শফিকুর রহমান থেকে শুরু করে বিএনপির সাজাপ্রাপ্ত লন্ডন প্রবাসী নেতা তারেক রহমান পর্যন্ত অনেকেরই ফোনালাপ রেকর্ড করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে এসব খবর পাওয়া গেছে।"


উপরের উদ্ধৃতিতে একটি বিষয় পরিষ্কারভাবে তুলে ধরা হয়েছে তা হলো, 'জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনও তিন বছর বাকি থাকতেই...' শব্দগুলো ব্যবহার করে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনের কথা বুঝানো হয়েছে। বাংলাদেশে বিগত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে। চলতি সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত দুই বছরের কিছু কম সময় পার করেছে বর্তমান সরকার। যেহেতু প্রতি ৫ বছর পরপর বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, ফলে আগামী নির্বাচন (২০২৩ সালের শেষে বা ২০২৪ সালের শুরুতে) অনুষ্ঠিত হতে আরও তিন বছরের কিছু বেশি সময় রয়েছে।

অর্থাৎ, "রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের জন্য বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) গভীর ষড়যন্ত্রের" যেসব "তথ্য উদঘাটন করেছে গোয়েন্দা সংস্থা" সেগুলো ২০২৩/২৪ সালের নির্বাচনকে ঘিরে (৩০০ আসনের বন্টনে আইএসআই'র ভুমিকাসহ)। এমনটাই বলা হয়েছে ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে প্রকাশিত জনকণ্ঠের রিপোর্টে।

কিন্তু বুম বাংলাদেশ-এর অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, জনকণ্ঠের প্রতিবেদনে যেসব তথ্য অজ্ঞাত গোয়েন্দা সংস্থার বরাতে তুলে ধরা হয়েছে গত ২৪ সেপ্টেম্বর; অবিকল সেসব তথ্য ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বররে নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের মূলধারার একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল ওই বছরের নির্বাচনকে ঘিরে 'আইএসআই-জামায়াত-বিএনপির ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা' হিসেবে।

এমনকি ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগের মূলধারার সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে হুবহু কপি-পেস্ট করা হয়েছে জনকণ্ঠের বর্তমান প্রতিবেদনে।

নিচের প্যারাটি ২০১৮ সালের ২১ ডিসেম্বর বাংলাট্রিবিউনের "বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থী তালিকা আইএসআইয়ের তৈরি!" শীর্ষক প্রতিবেদনের ইন্ট্রো--

"আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের রাজনীতিতে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বিশেষ তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমনকি আসন্ন নির্বাচনে আইএসআই তাদের পছন্দের লোককে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য বিএনপি ও জামায়াতের কাছে একটি তালিকাও তৈরি করে দিয়েছিল। সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে আইএসআইয়ের তৈরি করা একটি প্রার্থী তালিকা বিএনপির কাছে পাঠানো হয় ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতে এ তালিকা পৌঁছানো হয়। অনুসন্ধানে একাধিক সূত্র থেকে এই তৎপরতার তথ্য ও নথি পাওয়া গেছে।"

নিচে বাংলাট্রিবিউন ও জনকণ্ঠের প্রায় ২১ মাস আগে-পরে প্রকাশিত দুটি প্রতিবেদনের তুলনামূলক স্ক্রিনশট দেখুন--


বাংলাট্রিবিউন ২০১৮ এর ডিসেম্বরের ১৯ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত ৪দিনে ৫টি প্রতিবেদনের একটি সিরিজ প্রকাশ করে পরের সপ্তাহে (৩০ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে ঘিরে 'বিএনপি-জামায়াত ও আইএসআই'র বিভিন্ন পরিকল্পনার অভিযোগ ঘিরে। সূত্র হিসেবে গোয়েন্দা সংস্থা দেয়া তথ্য এবং কিছু ফাঁস হওয়া ফোনালাপের বরাত দেয়া হয় এসব প্রতিবেদনে।

"রাজনীতিতে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতা - ১" শীর্ষক ওই সিরিজের প্রতিবেদনগুলোর শিরোনাম লিংকসহ নিচে দেয়া হল--

১৯ ডিসেম্বর ২০১৮: দুবাই থেকে কলকাঠি নাড়ছে আইএসআই

১৯ ডিসেম্বর ২০১৮: আইএসআইয়ের সঙ্গে জামায়াতের পুরনো দোস্তি

২০ ডিসেম্বর ২০১৮: আইএসআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ আছে তারেক রহমানের

২১ ডিসেম্বর ২০১৮: বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থী তালিকা আইএসআইয়ের তৈরি!

২২ ডিসেম্বর ২০১৮: চীনকে পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা করে আইএসআই!

জনকণ্ঠ ২৪ সেপ্টেম্বর যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে এই সিরিজের ৩য় রিপোর্টটির বেশিরভাগ অংশ হুবহু কপি-পেস্ট করা হয়েছে। কিছুক্ষেত্রে অবশ্য প্যারা বা বাক্যকে আগে-পিছে নেয়া হয়েছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে এক/দুই বাক্য পরপর শব্দ বা শব্দগুচ্ছ বদলে দেয়া হয়েছে।

(প্রসঙ্গত, বাংলাট্রিবিউনের এই সিরিজটি ওই বছর বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ আরও কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। বাংলাদেশ প্রতিদিন এর কয়েকটি রিপোর্ট দেখুন এখানে, এখানে এখানে।)

নিচের দুটি স্ক্রিনশটে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত বাংলাট্রিবিউনের রিপোর্ট এবং ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট দুটিকে তুলনামূলকভাবে দেখানো হয়েছে--

স্ক্রিনশট-১:



স্ক্রিনশট-২:


(যারা তুলনামূলক স্ক্রিনশটগুলো পড়তে পারবেন না তারা দুটি রিপোর্ট এখানে এখানে ক্লিক করে পড়তে পারেন)

আরও কিছু তথ্য:

#জনকণ্ঠে প্রতিবেদনের শুরুর দিকে একাধিকবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে থেকে আইএসআই এবং বিএনপির মধ্যে সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করা আমিরাত বিএনপির সভাপতির নাম 'জাহিদ হাসান' উল্লেখ করা হলেও শেষের দিকে গিয়ে একাধিকবার তার নাম 'জাকির হোসেন' লেখা হয়েছে।

২০১৮ সালের বাংলাট্রিবিউনের রিপোর্টগুলোতে একই ব্যক্তির নাম 'জাকির হোসেন' লেখা হয়েছে, 'জাহিদ হাসান' নয়।

#জনকণ্ঠের রিপোর্টের এক জায়গায় ফোনালাপ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে নিচের কথোপকথনটি।

"ফোনালাপের রেকর্ডে বলতে শোনা যায়, শহীদ মেহমুদ : ইউ রিমেম্বার উই মেট লাস্ট টাইম ইন ইসলামাবাদ (আপনার স্মরণ আছে যে, আমরা সর্বশেষ ইসলামাবাদের বৈঠকে মিলিত হয়েছিলাম)।

জাহিদ হাসান (দুবাইভিত্তিক বিএনপির সভাপতি) : স্লামালাইকুম।"

২০১৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর ভারতীয় অনলাইন পোর্টাল www.mynation.com-এ প্রকাশিত "Leaked phone chat: BNP seeking Pakistan's help in Bangladesh election?" শিরোনামের প্রতিবেদনে একটি ফোনালাপের অডিও প্রকাশ করা হয়। সেই অডিওতে দুই ব্যক্তির আলাপের শুরুতে একজন 'স্লামালাইকুম' বলে কথা শুরুর পর বলেন, "ইউ রিমেম্বার উই মেট লাস্ট টাইম ইন ইসলামাবাদ"।

www.mynation.com-এর প্রতিবেদনের ইন্ট্রোতেই লেখা হয়েছে--

"Pakistani's notorious spy agency Inter-Services Intelligence (ISI) has been trying to influence the politics of Bangladesh, if a recent audio leak is to be believed. Ahead of the National Parliament election on December 30, the shadowy spy agency seems to have increased contact with political allies in Bangladesh."

অর্থাৎ, ওই অডিওর কথোপকথনের লক্ষ্য হিসেবে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকেই বুঝিয়েছে এই পত্রিকাটিও।

#জনকণ্ঠের রিপোর্টের এক জায়গায় লেখা হয়েছে--

"গোয়েন্দা নথিপত্রে যে তথ্য তাতে দেখা যায়, গত ছয় মাসে দুবাইয়ে বিভিন্ন হোটেলে অন্তত ১১ বার দেখা হয়েছে দু'জনের। সর্বশেষ ৭ ডিসেম্বর এ দুজন দেখা করেন বলে গোয়েন্দা সংস্থার দাবি।"

চলতি সেপ্টেম্বরের ২৪ তারিখ প্রকাশিত রিপোর্টের আগের ৬ মাস হিসাব করলে চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ধরা যায়। এই ৬ মাস সময়ের মধ্যে অন্তত ১১বার দুই ব্যক্তির দেখা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এবং এই ১১ বার সাক্ষাতের সর্বশেষটি হয়েছে '৭ ডিসেম্বর'।

এখানে তথ্যের গরমিলটা হলো- এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যকার (৬ মাস) সময়ের মধ্যে তো ডিসেম্বর মাস নেই!

আবার উপরের উদ্ধৃতিটি বাংলা ট্রিবিউনের ২০১৮ সালের রিপোর্টের তথ্যের সাথে মিলে যাচ্ছে। বাংলাট্রিবিউনের রিপোর্টে এই তথ্যগুলো লেখা হয়েছে এভাবে--

"অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত জুলাই থেকে ডিসেম্বর (৬ মাস) পর্যন্ত জাকির হোসেন অন্তত ১১ বার শহীদ মেহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তাদের মধ্যে সর্বশেষ যোগাযোগ হয় গত ৭ ডিসেম্বর।" 

এছাড়া ২০১৮ এর বাংলাদেশ প্রতিদিনের রিপোর্টেও একই রকম তথ্য রয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিদিন থেকে উদ্ধৃত করা হচ্ছে--

"বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, গত জুন থেকে চলতি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত দুবাইয়ে জাকির হোসেন ও শহীদ মেহমুদ অন্তত ১১টি বৈঠক করেছেন।"

#জনকণ্ঠের রিপোর্টের বিভিন্ন জায়গা গত ৬ মাসে বিএনপি নেতা, জামায়াত নেতা, আইএসআই এজেন্ট ইত্যাদি ব্যক্তিবর্গের বহুবার দুবাইয়ের হোটেলে বৈঠকে মিলিত হওয়ার তথ্য জানানো হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে মার্চ মাস থেকে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে লকডাউন বিদ্যমান ছিলো। কিছু কিছু দেশ জুলাই বা আগস্ট মাস থেকে লকডাউন শীতিল করলেও এর আগের মাসগুলোতে কঠোরভাবে তা পালন করা হয়েছে। বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় দেশগুলোতে এই লকডাউন অত্যন্ত কঠোর ছিলো। বিমান চলাচলসহ মানুষের সাধারণ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ছিলো।

#জনকণ্ঠের এই প্রতিবেদন আরও বেশ কিছু অনলাইন পোর্টালে পুনরুপাদিত হয়েছে গত কয়েকদিনে। সামাজিক মাধ্যমেও অনেকে জনকণ্ঠের প্রতিবেদন এবং অন্যান্য পুনরুৎপাদিত প্রতিবেদনগুলো শেয়ার করেছেন। 


সিদ্ধান্ত:

দৈনক জনকণ্ঠের গত ২৪ সেপ্টেম্বরের প্রতিবেদনের বেশিরভাগ তথ্য (দিন তারিখ ও বর্ণনাসহ) ২০১৮ সালে প্রকাশিত বাংলাট্রিবিউন এবং অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের তথ্যের সাথে অবিকল মিলে যাওয়া, জনকণ্ঠের প্রতিবেদনের বহু প্যারা এবং বাক্য হুবহু বাংলাট্রিবিউনের ২১ মাস আগের প্রতিবেদনের সাথে মিলে যাওয়া, তথ্যের গরমিল এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনকে 'প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে' অনুষ্ঠিত এমন অভিযোগ যুক্ত অডিও ফোনালাপের উদ্ধৃতি রিপোর্টে ব্যবহার করা- ইত্যাদির মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, জনকণ্ঠের রিপোর্টটি ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনকে ঘিরে প্রচারিত খবরের পুনরুৎপাদিত ভার্সন; যা ২০২৩/২৪ সালের নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিভ্রান্তিকরভাবে আরোপ করা হয়েছে।


ডিসক্লেইমার:

এই প্রতিবেদনে বাংলাট্রিবিউন বা অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে ২০১৮ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে বা বর্তমানে জনকণ্ঠে যেসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে সেগুলোর সত্যমিথ্যা যাচাই করা হয়নি। বরং শুধু এটাই দেখা হয়েছে যে, জনকণ্ঠের বর্তমান রিপোর্টটি ২০১৮ সালে প্রকাশিত খবরগুলোর পুনরুৎপাদিত ভার্সন কিনা?

Related Stories