সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি ও পেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, এটি সম্প্রতি ইরানের ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপের পর ইসরায়েলের তেলআবিবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ২২ জুন ‘Abdus Samad’ নামক আইডি থেকে ভিডিওটি পোস্ট করে উল্লেখ করা হয়, “ব্রেকিং....ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের পর তেল আবিবে আগুনের দৃশ্য, ২৪ জা°য়°নিস্টের মৃ°ত্যু এবং সংখ্যা আরো বাড়ছে...।” নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে আলোচ্য ভিডিওটি ইসরায়েলের তেলআবিবে ইরানের মিসাইল হামলার পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার নয় বরং এটি গত এপ্রিলে যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন হেনলি কলেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ভিডিও।
ভাইরাল ভিডিওর রিভার্স ইমেজ সার্চ করে “Huge fire at disused Henley College building in Coventry, Oxfordshire, England” শিরোনামে ‘The Subtitle Guy’ ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ৩০ এপ্রিল প্রকাশিত ভিডিওর সঙ্গে ফেসবুকে সম্প্রতি ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় ইরানের ছোড়া মিসাইল ইসরায়েলের তেল আবিবে আঘাত আনার পর অগ্নিকাণ্ডের দাবিতে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। যেখানে বলা হয়, এটি ইংল্যান্ডের কভেন্ট্রি শহরের হেনলি কলেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও। ভিডিওটি দেখুন--
আলোচ্য তথ্যের ভিত্তিতে কি ওয়ার্ড সার্চ করে “Fierce flame at former college lights up night sky” শিরোনামে ‘বিবিসি’ এর অনলাইনে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। একইদিন অর্থাৎ ৩০ এপ্রিল প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা কোভেন্ট্রিতে একটি পরিত্যক্ত সাবেক কলেজ ভবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন, যেখানে তীব্র শিখা আশেপাশের প্রতিবেশীদের চোখে পড়েছে। ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, সোমবার রাত ৮টার কিছু পর হেনলি রোডে আগুন লাগার খবর পেয়ে বারোটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের জানালা ও দরজা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে এবং সাধারণ জনগণকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে। স্ক্রিনশট দেখুন--
আলোচ্য প্রতিবেদনে প্রকাশিত ছবির সঙ্গে ভাইরাল ভিডিওর বিভিন্ন দৃশ্যের পারিপার্শ্বিকতার মিল পাওয়া যায়।
অর্থাৎ ভাইরাল ভিডিওটি ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপনাস্ত্রের আঘাতে সংঘঠিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার নয় বরং এটি গত এপ্রিলে যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন হেনলি কলেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ভিডিও।
সুতরাং যুক্তরাজ্যের অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও দিয়ে ইসরায়েলের তেলআবিবে ইরানের ক্ষেপনাস্ত্র আঘাত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।