HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফেক নিউজNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইলNo Image is Available
শরীর স্বাস্থ্যNo Image is Available
HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফেক নিউজNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইলNo Image is Available
শরীর স্বাস্থ্যNo Image is Available
ফেক নিউজ

বিভ্রান্তিকর ছবিসহ ৩ বছরের পুরনো সংবাদ নতুন করে প্রকাশ

ঘটনা ঘটেছিলো ২০১৭ সালে কলম্বিয়ায়, বর্তমানে এশীয় গড়নের এক নারীর ছবি দিয়ে সেই খবর প্রকাশ করেছে কিছু বাংলাদেশি অনলাইন পোর্টাল।

By - BOOM FACT Check Team | 27 July 2020 3:38 PM GMT

''ভালো ফলাফলের লোভ দেখিয়ে ছাত্রদের জোর করে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করতেন শিক্ষিকা'' শিরোনামে কিছু অনলাইন পোর্টালে করা একটি খবর ২৬ জুলাই সামাজিক মাধ‌্যম ফেসবুকে ছড়িয়েছে।

ফেসবুকে শেয়ার হওয়া সবকটি মাধ্যমেরই মূল খবর হুবহু একইরকম। viralnews23.com নামক একটি পোর্টালের খবরে লেখা হয়েছে- 

''পাস করতে চাও? তাহলে অবসরে আমার বাসায় এসো।' এভাবেই ছাত্রদের নিজের বাড়িতে ডেকে নিতেন এক স্কুল শিক্ষিকা। যে ছাত্র বাসায় যেতে রাজি হন না, তাকে ফেল করিয়ে দিতেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে কলম্বিয়ায়। খবর ডেইলি মেইল।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই শিক্ষিকার নাম ইওকাসতা। বয়স চল্লিশেরও বেশি। ওই শিক্ষিকা শুধু পাস করানোর জন্যই নয়, ভালো ফলাফলের লোভ দেখিয়েও ছাত্রদের বাড়িতে ডেকে নিতেন। রাজি না হলে ফেল করিয়ে দেয়ার ভয় দেখাতেন তিনি।''

প্রকৃতপক্ষে এই ঘটনাটি ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর বৃটেনের সংবাদমাধ্যম 'ডেইলী মেইল' এর একটি খবরে আসে। ''Married teacher 'forced students to have SEX with her to get good grades' at Colombian school'' শিরোনামের খবরটিতে দেখা যায় কলম্বিয়ায় ইয়োকাস্তা নামক ৪০ বছর বয়সী এক শিক্ষিকা পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে তার ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়সী ছাত্রদের জোর করে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করতেন। এক ছাত্রের অভিভাবক ছাত্রটির ফোনে এরকম কিছু দেখতে পেয়ে অভিযোগ জানালে ওই শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তার স্বামী তাকে ডিভোর্স দেন এবং আদালত তাকে ৪০ বছরের জেলের আদেশ দেন।
কলম্বিয়ার ঘটনা সংক্রান্ত আরও কিছু প্রতিবেদন দেখুন এখানেএখানে

ফেসবুকে ছড়ানো খবরটির সাথে সংযুক্ত করা ফিচার ইমেজটিও ওই শিক্ষিকার ঘটনার সাথে সম্পর্কিত নয়। বিদেশী সংবাদমাধ্যমে আসা খবরের সাথে সংযুক্ত ছবিগুলোর সাথে এই ছবির কোন মিল নেই।

বাংলাদেশি অনলাইন পোর্টালগুলোতে এই খবরের সাথে যোগ করা হয়েছে এমন একজন নারীর ছবি (এশীয় গড়নের) যাকে দেখলে পাঠকের মনে হতে পারে যে, ঘটনাটি বাংলাদেশের। প্রকৃতপক্ষে ওই নারীর ছবিটি ২০১৫ সাল থেকে অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্মে আপলোড করা হয়েছে। এর সাথে কলম্বিয়ার সেই নারী শিক্ষিকার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

তিন বছরের পুরোনো খবর কোনো ধরনের ডিসক্লেইমার ছাড়া নতুন করে আপলোড করা, অপ্রাসঙ্গিকভাবে সেই খবরে এশীয় গড়নের ভিন্ন এক নারীর ছবি যুক্ত করে পাঠকদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা, শিরোনামে স্থানের নাম উল্লেখ না করা- ইত্যাদি বিষয় মিলিয়ে বর্তমানে এই খবরটি প্রকাশ করা বিভ্রান্তিকর।

Related Stories