HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফেক নিউজNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইলNo Image is Available
শরীর স্বাস্থ্যNo Image is Available
HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফেক নিউজNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইলNo Image is Available
শরীর স্বাস্থ্যNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইল

চার নারীর ১৯৬৫ সালের ছবি নিয়ে বিভ্রান্তি

মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় তোলা হিসেবে ছড়ানো চার নারীর ছবিটি মূলত ১৯৬৫ সালে তোলা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

By - BOOM FACT Check Team | 1 April 2021 7:42 AM GMT

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে বন্দুক ও গাড়ির স্টিয়ারিং হুইল ধরে একটি গাড়িতে বসা চার নারীর দুটি ছবির একটি কোলাজ ভাইরাল হয়েছে। কোলাজটি পোস্ট করে অনেকে এই চারজনকে চার বান্ধবী অভিহিত করে তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবি করছেন এবং দুটি ছবি ১৯৭১ সাল এবং ২০২১ সালে একই গাড়িতে করে একই স্থানে বসে তোলা বলে শেয়ার করছেন।

ফ্যাক্ট চেক:

ফেসবুক ও টুইটারে ছবি দুটি ছড়ানোর পর অনেকে বুম বাংলাদেশের কাছে ছবির সাথে পোস্ট করা তথ্যের সত্যতা জানতে চান।
প্রথমত: তুলনামূলক পুুরনো সাদাকালো ছবিটির রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধান চালিয়ে ২০১৫ সালে ছবি শেয়ারিংয়ের সাইট
পিন্টারেস্টে
আপলোড হওয়া একটি ছবি পাওয়া যায় যাতে ছবিটি ১৯৬৫ সালের বলে উল্লেখ করা হয় এবং রেনান আহমেদ নামে একজনের কার্টেসি দিয়ে ক্যাপশন দেওয়া হয়- 'Women are posing with gun in a village trip. Bangladesh (1965)'। তবে প্রাথমিকভাবে এই ছবির ক্যাপশনের সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
দ্বিতীয়ত: ফেসবুকে ছবিগুলো সংশ্লিষ্ট পোস্টের কমেন্ট সেকশনে অনেকে এরা মুক্তিযোদ্ধা নন বলে মন্তব্য করেন এবং প্রমাণ হিসেবে সাথে আফরিন হক নামে একজনের স্ট্যাটাসের স্ক্রীণশট দেন যাতে আফরিনা হক এই নারীদের তিনজনকে তার চাচী এবং একজনকে ফুফু বলে দাবি করেন।
তার দাবি অনুযায়ী এই ছবিটি ১৯৬৫ সালে তার চাচারা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শিকার করতে গেলে তখন তোলা হয় এবং বর্তমানে তার তিন চাচীর দুইজন আর বেঁচে নেই। তার স্ট্যাটাসের মন্তব্য সেকশনে অনেকের মন্তব্যের রিপ্লাই দিতে গিয়ে তিনি এই নারীদের এরকম আরো কিছু ছবি দেন এবং সাথে রায়হান আহমদ নামক একজনের মন্তব্যের স্ক্রীণশট দেন। ওই স্ক্রীনশটের তথ্য অনুযায়ী রায়হান আহমদ এই চার নারীরই একজনের ছেলে।
বুম বাংলাদেশ রায়হান আহমদের প্রোফাইল ঘেটে দেখতে পায় অপেক্ষাকৃত নতুন এবং রঙ্গীন ছবিটির একজন নারীর সাথে রায়হান আহমদের কিছু ছবি আছে যদিও ক্যাপশনে তাদের মধ্যে সম্পর্ক কি এ সম্পর্কে কোন তথ্য নেই। তবে কমেন্ট সেকশনে অনেকের কমেন্ট দেখে বোঝা যায় এই নারী তার মা এবং তিনি ২০১৮ এর ৭ অক্টোবরের আগে কোন এক সময় মৃত্যুবরণ করেছেন।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বলে দাবি করা ছবিটিও রায়হান আহমদের ফেসবুক প্রোফাইলে পাওয়া যায় যা প্রথম তিনি ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর পোস্ট করেন।

অন্যদিকে এই ছবিটি ফেসবুকে Bangladesh Old Photo Archive নামক একটি পেজেও পাওয়া যায় যা ২০১৩ সালের ১৯ জুলাই 'Women are posing with gun in a village trip. Bangladesh (1965) Photo courtesy- Renan Ahmed.' শীর্ষক ক্যাপশনে আপলোড করা হয়। উল্লখ্য এই পেজটি বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের পুরনো স্থান, ব্যক্তিত্ব ও ঘটনার ছবি সংগ্রহ করে পোস্ট করে থাকে। ছবিতে রেনান আহমেদ নামে একজনের কার্টেসী দেয়া আছে।

আর্কাইভ করা আছে এখানে। 

বুম যখন প্রাথমিক অনুসন্ধান চালাচ্ছে সেসময় মূলধারার সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোতে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ''ভাইরাল দুই ছবি, নেপথ্যে ভিন্ন গল্প'' শিরোনামের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মানিকগঞ্জের জাহাজ ব্যবসায়ী শামসুদ্দীন আহমেদের ছিল শিকারের নেশা। কোন একবার শিকারে গিয়ে বা শিকার থেকে ফেরার পর তাঁর মেয়ে ও ছেলেবউরা বন্দুক নিয়ে খোলা জিপে বসে ছবি তুলেছিলেন। ষাটের দশকের এই ছবিই এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
আবার ২০১৫ বা ২০১৭ সালের দিকে ঢাকায় পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে আবারো সেই চার নারীই উপস্থিত হয়েছিলেন, ছিল সেই জিপও। তাই ষাটের দশকের চারজনের ছবিটি একই আদলে আবারো তোলা হয়।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে প্রথম আলো জানায়, সাদাকালো ছবি এই চার নারী বান্ধবী নন, মুক্তিযোদ্ধাও নন। তাঁরা সম্পর্কে ননদ-ভাবি। চারজনের মধ্যে দুজন ইতোমধ্যে মারা গেছেন। সাদাকালো ছবিতে গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে বসা আয়েশা রহমান, তিনি শামসুদ্দীন আহমেদের মেয়ে। সামনে তাঁর পাশেই বসা শামসুদ্দীন আহমেদের ছেলের বউ রোকেয়া আহমেদ। আর পেছনে অন্য দুজন হলেন শাহানারা আহেমদ ও রাশিদা আহমেদ, তাঁরাও ছেলের বউ। রোকেয়া ও রাশিদা মারা গেছেন। আয়েশা থাকেন লন্ডনে। আর শাহানারা দেশেই আছেন।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে
একইভাবে দুটি ছবি ভারতেও বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর দাবি নিয়ে ছড়ালে ভারতীয় ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থা লজিক্যাল ইন্ডিয়ান ও দ্য কুইন্ট এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। দেখুন এখানেএখানে

Related Stories