সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি ও পেজ থেকে এখন টেলিভিশনের লোগোযুক্ত একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, চট্টগ্রামে চলন্ত বাসে সন্ত্রারাসীরা ছুরি দিয়ে কুপিয়ে একজনকে হত্যা করেছে। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে এবং এখানে।
গত ২৭ অক্টোবর ‘Amora Harbona’ নামক একটি পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করে উল্লেখ করা হয়, “এইমাত্র চট্টগ্রামে চলন্ত বাসে ছু/রি দিয়ে কু/পি/য়ে একজনকে হত্যা করল দু/র্বৃ/ত্ত স/ন্ত্রা/সী/রা... দেশে কোন নিরাপত্তা নেই/অভিভাবকহীন রাষ্ট্র.... দেখে যাও বিশ্ব আমরা কত অগ্রগতি করছি। #চট্টগ্রাম #মব_সন্ত্রাস #রগ_কাটা_জামাত_শিবির।” নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে ভিডিওটি চট্টগ্রামে চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের সময় ছুরি দিয়ে আঘাতের ঘটনা ঘটলেও এই ঘটনায় কোনো মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেনি।
কি ওয়ার্ড সার্চ করে “চট্টগ্রামে চলন্ত বাসে ছিনতাই, গ্রেপ্তার ১” শিরোনামে ‘EKHON TV’ ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। গত ২৭ অক্টোবর প্রকাশিত ভিডিওর সঙ্গে ফেসবুকে প্রচারিত দাবিতে ভাইরাল ভিডিওর সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। যেখানে বলা হয়, চট্টগ্রামে চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এতে জড়িত একজনকে গ্রেফতার করা হয়। ভিডিওটি দেখুন--
এখন টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এই ভিডিওতে কোথাও মারা যাওয়ার তথ্য উল্লেখ্য নেই।
পাশাপাশি কি ওয়ার্ড সার্চ করে “চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের চেষ্টা, বাস চালিয়ে ছিনতাইকারীকে নিয়ে থানায় চালক” শিরোনামে ‘প্রথম আলো’র অনলাইনে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। গত ২৭ অক্টোবর প্রকাশিত প্রতিবেদনে কোনো মারা যাওয়ার তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। যেখানে আলোচ্য ঘটনা সম্পর্কে বলা হয়, চলন্ত বাসে মুঠোফোন ছিনতাই করতে গিয়ে ধরা পড়েন যাত্রী বেশে ওঠা এক ছিনতাইকারী। এরপর নেমে যেতে চেষ্টা করেন তিনি, ছুরিকাঘাত করেন চালকের সহকারীকে। তবে তাঁকেসহ চালক বাস চালিয়ে নিয়ে যান নিকটবর্তী থানায়। সেখানে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। চট্টগ্রাম নগরের কাস্টমস মোড় এলাকায় গতকাল রোববার দিবাগদ রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। গ্রেপ্তার ছিনতাইকারীর নাম আকবর হোসেন (২৪)। এ ঘটনায় আকবরের তিন সহযোগী বাসের জানালা দিয়ে পালিয়ে যান। স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ চট্টগ্রামে চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের সময় ছুরি দিয়ে আঘাতের ঘটনায় কেউ মারা যাননি।
সুতরাং চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনার ভিডিওকে সন্ত্রাসী হামলায় একজন নিহত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।




