সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ছাত্র-ছাত্রীদের একটি সমাবেশে দেওয়া বক্তৃতায় একজন বলছেন "আপনারা পরিবর্তনের কথা বলেন আর নিজেরা কোটিপতি হয়েছেন। আগামী ৩ তারিখে (আগস্ট) আমরা সাত কলেজের কেউ শহীদ মিনারে যাবোনা। গতবারের মতো ভুল আর করবোনা"। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ০২ আগস্ট 'Mohammed Fahim' নামক একটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। পোস্টে উল্লেখ করা হয় "আগামীকাল ৩ তারিখ কোন ছাত্র-ছাত্রী শহীদ মিনারের না যাওয়ার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত"। পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, দাবিটি সঠিক নয়। ভিডিওটি বাস্তব কোনো সমাবেশের নয় বরং এআই প্রযুক্তিতে ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।
ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে এটি বাস্তব দৃশ্যের অডিওর তুলনায় কিছুটা অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সাধারণত গুগলের ভিও-৩ মডেল ব্যবহার করে তৈরি করা এআই ভিডিওতে অডিওর এমন উচ্চতর আউটপুট শোনা যায়।
গুগল 'Veo' হলো গুগলের একটি প্রায় বাস্তবসম্মত ভিডিও জেনারেশন টুল যা গুগল ডিপমাইন্ড দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এটি টেক্সট-টু-ভিডিও জেনারেশন, ইমেজ-টু-ভিডিও জেনারেশন এবং সর্বশেষ সংস্করণ, ভিও-৩ ভিডিওর পাশাপাশি নেটিভ অডিও তৈরি করতে পারে।
এছাড়াও গুগলের জেনারেটিভ টুল তাদের কন্টেন্টে 'SynthID' নামক এক ধরণের ওয়াটারমার্কিং ব্যবহার করে যা খালি চোখে দেখা না গেলেও গুগলের SynthID ডিটেকশন টুল তা শনাক্ত করতে পারে। এই প্রক্রিয়ায় যাচাই করলেও টুলটি ভিডিওটিকে 'গুগলের এআই টুল দিয়ে তৈরি' বলে ফলাফল দিয়েছে। দেখুন--
আরেক এআই কন্টেন্ট ডিটেকশন টুল 'হাইভ' ব্যবহার করে যাচাই করলে ভিডিওটি ৭০ (+) শতাংশ সম্ভাব্য এআই দিয়ে তৈরি বলে ফলাফল দিয়েছে।
অর্থাৎ ভিডিওটি এআই প্রযুক্তিতে তৈরি।
সুতরাং সামাজিক মাধ্যমে এআই প্রযুক্তিতে তৈরি ভিডিওকে বাস্তব ঘটনার বলে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।