HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফেক নিউজNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইলNo Image is Available
শরীর স্বাস্থ্যNo Image is Available
HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফেক নিউজNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইলNo Image is Available
শরীর স্বাস্থ্যNo Image is Available
ফেক নিউজ

'কুমির চিতাকে আক্রমণ করে এবং পরিশেষে চিতাই জয়ী হয়'-ভিডিওটি বানোয়াট

বুম বাংলাদেশ দেখেছে, দুইটি ভিন্ন স্থানের ভিন্ন ঘটনার ভিডিও অপ্রাসঙ্গিকভাবে যুক্ত করে ভাইরাল ভিডিওটি বানানো হয়েছে।

By - Ummay Ammara Eva | 26 April 2022 9:24 AM GMT

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, একটি চিতাবাঘ একটি জলাধারে পানি খাওয়ার সময় কুমির আকস্মিক আক্রমণ করে চিতাটিকে পানিতে নিয়ে যায় এবং আশ্চর্যজনকভাবে কিছুক্ষণ পর উল্টো চিতা কুমিরটিকে কামড়ে ধরে স্থলে উঠে আসে, শেষতক জয় হয় চিতাবাঘটির। এরকম কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানেএখানে এবং এখানে

গত ২০ মার্চ 'Chakrir Khobor - চাকরির খবর, Government, Non-Government Job News Group' নামের একটি গ্রুপে '𝙋𝙧𝙞𝙮𝙤シ︎ প্রিয়' নামের আইডি থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলা হয়, "আপনার শত্রু যতই শক্তিশালী হোক না কেন, আপনি যদি নিজের শক্তিতে বিশ্বাস করেন তবে আপনি যে কোনও যুদ্ধে লড়াই করতে এবং জয় করতে পারেন।" দেখুন ওই পোস্টের স্ক্রিনশট--


ফ্যাক্ট চেক:

বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য ভিডিওটি বানোয়াট। মূলত দক্ষিণ আফ্রিকার জঙ্গল থেকে ধারণ করা একটি ভিডিও এবং ল্যাটিন আমেরিকার ব্রাজিলের আমাজনের আরেকটি ভিডিওর গুরুত্বপূর্ণ অংশ কেটে যুক্ত করে ভাইরাল ভিডিওটি বানানো হয়েছে।

অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, ২৮ সেকেন্ড দীর্ঘ ভাইরাল ভিডিওটির প্রথম ৮ সেকেন্ড নেয়া হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি জঙ্গলে ধারণ করা একটি ভিডিও থেকে। আর ৯ সেকেন্ড থেকে বাকী অংশটুকু নেয়া হয়েছে ব্রাজিলের আমাজন থেকে ধারণ করা আরেকটি ভিডিও হতে।

ভিডিওটির কি ফ্রেম কেটে সার্চ করে প্রথম ভিডিওটির একটি পূর্ণাঙ্গ ভার্সন 'WildEarth' নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে পাওয়া গেছে। "Crocodile attacks unsuspecting cheetah cub" শিরোনামে ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর ভিডিওটি আপলোড করা হয়। দেখুন--

Full View

উক্ত ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে এ নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম 'The Indian Express'-এ "Viral Video: Cheetah cub drinking water gets ambushed by crocodile in Africa" শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকার একটি জলাধারে পানি পানের সময় একটি চিতা শাবককে আক্রমণ করে টেনে নিয়ে যায় একটি কুমির, এই ঘটনাটি ভাইরাল হয়েছে। দেখুন প্রতিবেদনটির স্ক্রিনশট--


এদিকে, আলোচ্য ভিডিওটির কি ফ্রেম কেটে সার্চ করে ভিডিওটির দ্বিতীয় অংশটি পাওয়া যায় 'Every Thing' নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে "Shikar hi shikar" শিরোনামে যা ২০১৮ সালের ৩০ মার্চ আপলোড করা হয় এবং বর্ণনা অংশে কিছু লেখা হয়নি। তবে এর কিছুদিন পর ২০১৮ সালের ৯ জুলাই 'EXODOR' নামের ফরাসি ভাষার একটি ইউটিউব চ্যানেলে "Jaguar vs croco combat à mort!!! incroyable!!" শিরোনামে ভিডিওটির একটি পূর্ণাঙ্গ ভার্সন বর্ণনা সহ আপলোড করা হয়। ফ্রেঞ্চ ভাষার গুগল স্বয়ংক্রিয় অনুবাদ থেকে জানা যায়, ভিডিওটির বর্ণনায় লেখা হয়, "আমাজনে একটি জাগুয়ার একটি কুমিরকে শিকার করেছে, জাগুয়ারটি নদীতে লাফিয়ে পড়ে এবং পানিতে জীবন-মরণ লড়াই হয়"। দেখুন ইউটিউব ভিডিওটি--

Full View

এদিকে এই ভিডিওটিও কিছুদিন পর সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়, এর প্রেক্ষাপটে 'Hambriento jaguar ataca sin piedad a cocodrilo y brutal pelea tiene inesperado final [VIDEO]' শিরোনামে স্প্যানিশ ভাষার প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম 'La Republica' একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। গুগল স্বয়ংক্রিয় অনুবাদের মাধ্যমে প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ব্রাজিলের আমাজন বনে নদীতে একটি কুমিরের উপর হিংস্র জাগুয়ার ঝাপিয়ে পড়ে এবং এটিকে শিকারে পরিণত করে। ভিডিওটি ইউটিউব ও সামাজিক মাধ্যমে লাখ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দেখেছে। দেখুন পত্রিকাটির স্ক্রিনশট--


এছাড়াও, ভিডিওটির প্রথম অংশ ও দ্বিতীয় অংশে দেখতে পাওয়া প্রাণীটি যে এক নয় অর্থাৎ আলাদা, তা খেয়াল করলে স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। দুটি প্রাণীর পাশাপাশি তুলনা দেখুন--

ভিডিওটির দ্বিতীয় অংশের প্রাণীটি (বামে) ও প্রথম অংশের (ডানে)

অর্থাৎ দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিল থেকে ধারণ করা দুটি ভিন্ন ভিডিও থেকে কিছু অংশ কেটে নিয়ে আলোচ্য ভিডিওটি বানানো হয়েছে।

সুতরাং একটি বানোয়াট ভিডিও আপলোড দিয়ে ভিত্তিহীন দাবিতে মোটিভেশনাল বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।

Related Stories