সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি গণমাধ্যমের পেজে প্রকাশিত একটি খবরে বলা হয়েছে, কোল্ডপ্লে কনসার্টের ঘটনার কারণে ক্ষমা চেয়েছেন প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাস্ট্রোনমার-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (বর্তমানে সাবেক) অ্যান্ডি বায়রন। পোস্টটি দেখুন এখানে।
গত ১৮ই জুলাই দৈনিক ইনকিলাবের ফেসবুক পেজ 'The Daily Inqilab' থেকে আলোচ্য খবরের ফটোকার্ড পোস্ট করা হয়। ফটোকার্ডে উল্লেখ করা হয়, “আপত্তিকর ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন অ্যান্ডি বায়রন”। এছাড়াও পোস্টটির কমেন্টে ইনকিলাবের অনলাইন সংস্করণের এই সংক্রান্ত প্রতিবেদনের লিংকটিও জুড়ে দেওয়া হয়। পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন —
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, দাবিটি সঠিক নয়। আলোচ্য বিবৃতিটিসহ প্রচারিত সমজাতীয় দ্বিতীয় বিবৃতিটিও অ্যান্ডি বাইরনের নয় বরং উভয় বিবৃতি-ই ভুয়া বলে অ্যাস্ট্রোনমার কর্তৃপক্ষ নিজেদের ভেরিফাইড এক্স প্ল্যাটফর্মে জানিয়েছে। এছাড়াও, বুম লাইভ -এর পক্ষ থেকে অ্যাস্ট্রোনমারের মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্ক হুইলারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নিশ্চিত করেন যে অনলাইনে প্রচারিত এবং অ্যাস্ট্রোনমারের সিইওর নামে প্রচারিত বিবৃতি দুটো-ই ভুয়া।
দৈনিক ইনকিলাবের ফটোকার্ডে একটি চিঠির/বিবৃতির ছবিও যুক্ত করা হয়। সার্চ করে চিঠিটির একটি কপি সামাজিক মাধ্যম এক্স প্ল্যাটফর্মে একজন ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টের পোস্টে পাওয়া যায়। স্ক্রিনশট দেখুন--
বিষয়টি নিয়ে কি-ওয়ার্ড সার্চ এর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘এক্স’-এ অ্যাস্ট্রোনমারের ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টে গত ১৮ জুলাই এই বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। এতে উল্লেখ করা হয়, অ্যাস্ট্রোনমারের পরিচালনা পর্ষদ আলোচ্য ঘটনার বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানটি স্পষ্ট করেছে যে, অ্যান্ডি বাইরন এ নিয়ে কোনো প্রকাশ্য বিবৃতি দেননি এবং বিবৃতি সংক্রান্ত বিভিন্নভাবে প্রচারিত প্রতিবেদনগুলো সঠিক নয় (অনূদিত ও সংক্ষেপিত)। পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
একই তারিখে পরবর্তী আরেক পোস্টে অ্যাস্ট্রোনমার জানিয়েছে, সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ প্রোডাক্ট অফিসার পিট ডি জয় বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং অ্যান্ডি বাইরনকে প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে (অনূদিত ও সংক্ষেপিত)।
এছাড়াও, বুম লাইভ -এর পক্ষ থেকে অ্যাস্ট্রোনমারের মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্ক হুইলারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নিশ্চিত করেন যে অনলাইনে প্রচারিত এবং অ্যাস্ট্রোনমারের সিইওর নামে প্রচারিত বিবৃতি দুটো-ই ভুয়া।
অর্থাৎ অ্যান্ডি বাইরন ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দেননি।
উল্লেখ্য আলোচ্য কথিত বিবৃতিটি ছাড়াও আরো একটি ভুয়া বিবৃতির ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।
সুতরাং গণমাধ্যমে ভুয়া বিবৃতিকে অ্যান্ডি বাইরনের ক্ষমা চেয়ে দেওয়া বিবৃতি বলে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।