সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি ও পেজ থেকে শেখ হাসিনা ও তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, তারা সম্প্রতি দিল্লিতে বৈঠক করেছেন। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে এবং এখানে।
গত ২৭ অক্টোবর ‘বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ’ নামক একটি আইডি থেকে একটি ছবি পোস্ট করে উল্লেখ করা হয়, “আলহামদুলিল্লাহ ✌️ দিল্লি আমেদাবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবনে প্রেস মিটিং বৈঠক নেতাকর্মীদের আহ্বান সজীব ওয়াজেদ জয় লিডার উপস্থিত ছিলেন।” নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য দাবিটি সঠিক নয়। আলোচ্য ছবিটি দিল্লির আহমেদাবাদে শেখ হাসিনা ও তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্প্রতি সাক্ষাতকারের নয় বরং এটি ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭০ তম অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত বৈঠকের ছবি।
ভাইরাল ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে “Teesta deal to be signed with Bangladesh, says Modi” শিরোনামে ইংরেজি দৈনিক ‘দ্যা ডেইলি সান’ পত্রিকার অনলাইনে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ২০১৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনের ছবির সঙ্গে ভাইরাল প্রতিবেদনের ছবির মিল পাওয়া যায়। যেখানে বলা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশা প্রকাশ করেছেন যে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি বাংলাদেশে সঙ্গে স্বাক্ষরিত হবে। নিউইয়র্কের ওয়ালডর্ফ অ্যাস্টোরিয়া হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক অনির্ধারিত প্রতিনিধি-স্তরের বৈঠকে মোদি এই আশা ব্যক্ত করেন। জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে দুই নেতা নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন এবং একই হোটেলে থাকছেন। স্ক্রিনশট দেখুন--
নিচে ফেসবুকে সাম্প্রতিক দাবিতে প্রচারিত ছবি (বামে) এবং ২০১৫ সালের বৈঠকের অরিজিনাল ছবি (ডানে) দুটির মধ্যে মিল দেখুন পাশাপাশি--
এদিকে, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার সঙ্গে সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাৎ হলে সেটি গণমাধ্যমে আসাটাই স্বাভাবিক। যদিও কি ওয়ার্ড সার্চ করে এ ধরণের কোনো তথ্য বা প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়নি।
অর্থাৎ ফেসবুকে প্রচারিত আলোচ্য ছবিটি হাসিনা-মোদির সাম্প্রতিক বৈঠকের নয়। বরং এটি ২০১৫ সালের পুরোনো ছবি।
সুতরাং ২০১৫ সালের পুরোনো ছবি দিয়ে শেখ হাসিনা-মোদির সাম্প্রতিক বৈঠক দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।




