সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে এক নারীর বক্তব্য দেওয়ার একটি ভিডিও শেয়ার করে বলা হচ্ছে, ভিডিওতে বক্তব্যরত নারী সম্প্রতি গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদির স্ত্রী। এরকম কয়েকটি ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ২২ ডিসেম্বর 'Kaiom Ahmed Rohan' নামে একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে ভিডিওটি শেয়ার করে বলা হয়, "ওসমান হাদি'র স্ত্রী- রংপুর থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হতে চাচ্ছেন"। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের দাবিটি সঠিক নয়। ভিডিওটিতে উপস্থিত নারী ওসমান হাদির স্ত্রী নন। ভিডিওতে দেখানো নারীর নাম রেদওয়ানা ইসলাম লুনা। তিনি রংপুর জেলা বিএনপির সদ্যপ্রয়াত নেতা আনিছুর রহমান লাকু'র স্ত্রী।
আলোচ্য ভিডিওটিতে পর্যবেক্ষণ করে ভিডিওটিতে 'বরিশালের প্রতিধ্বনি' নামে একটি সংবাদপত্রের লোগো দেখতে পাওয়া যায়। ওই লোগোর সূত্রে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ওই নামে একটি নারীর ব্যাপারে জানতে ভিডিওটি থেকে কি-ফ্রেম কেটে নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে 'বরিশালের প্রতিধ্বনি' নামে একটি ফেসবুক পেজে গত ২২ ডিসেম্বর করা একটি পোস্টে আলোচ্য ভিডিওটির মত ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ওই ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়, "প্রয়াত আনিসুর রহমান লাকুর স্ত্রী- রংপুর থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হতে চাচ্ছেন #বরিশালেরপ্রতিধ্বনি #বরিশালেরপ্রতিধ্বনি #বরিশাল #Barishal"। ফেসবুক পোস্টটি দেখুন--
আরো সার্চ করে 'Gono Alo' নামে একটি ইউটিউব একাউন্টে গত ৩ ডিসেম্বর "প্রয়াত আনিছুর রহমান লাকুর সহধর্মিনী রেজওয়ান ইসলাম লুনা যা বললেন।" শিরোনামে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ওই ভিডিওটিতেও ওই একই নারীকে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। ইউটিউব ভিডিওটি দেখুন--
এছাড়াও, আলোচ্য ভিডিওটি সম্পর্কে একই তথ্যসহ আরো কয়েকটি ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে।
পরবর্তীতে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে জানা যায়, গত ৮ অক্টোবর রংপুর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আনিছুর রহমান লাকু মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে, আনিছুর রহমান লাকুর নামে পরিচালিত ফেসবুক পেজ থেকে করা পোস্টে তার স্ত্রী লুনার রাজনৈতিক কার্যক্রমে যুক্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।
অর্থাৎ, আলোচ্য পোস্টের দাবিটি সঠিক নয়। আলোচ্য ফেসবুক পোস্টে উপস্থিত নারী ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদির স্ত্রী নন। রংপুর জেলা বিএনপির সদ্যপ্রয়াত নেতা আনিছুর রহমান লাকু'র স্ত্রী রেদওয়ানা ইসলাম লুনাকে বিভ্রান্তিকরভাবে ওসমান হাদির স্ত্রী বলে প্রচার করা হচ্ছে।
সুতরাং ভিন্ন নারীকে শরীফ ওসমান বিন হাদির স্ত্রী বলে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে যা বিভ্রান্তিকর।




