HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফেক নিউজNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইলNo Image is Available
শরীর স্বাস্থ্যNo Image is Available
HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফেক নিউজNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইলNo Image is Available
শরীর স্বাস্থ্যNo Image is Available
ফেক নিউজ

'করোনাভাইরাস মানুষের তৈরি': জাপানি বিজ্ঞানীর নামে ভুয়া উদ্ধৃতি প্রচার

'করোনাভাইরাস মানুষের তৈরি এবং এটি চীন তৈরি করেছে' এমন ভুয়া উদ্ধৃতিকে জাপানি এক বিজ্ঞানীর নামে প্রচার করা হয়েছে।

By - Qadaruddin Shishir | 29 April 2020 7:44 AM GMT

বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন মঙ্গলবার দিবাগত রাতে (২৯ এপ্রিল) তাদের ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যার শিরোনাম, "করোনা নিয়ে বিস্ময়কর তথ্য নোবেল জয়ী জাপানি বিজ্ঞানীর"।

প্রতিবেদনটির আর্কাইভ লিংক



এর আগে ২৮ এপ্রিল বিকালে দৈনিক যুগান্তর একই খবর প্রকাশ করে শিরোনাম দেয়, "করোনা নিয়ে বিস্ময়কর তথ্য নোবেল জয়ী জাপানি বিজ্ঞানীর"।

যুগান্তরের প্রতিবেদনের আর্কাইভ লিংক


যুগান্তরের প্রতিবেদনের প্রথম তিনটি প্যারা এখানে হুবহু তুলে দেয়া হলো--

"নভেল করোনাভাইরাস প্রাকৃতিক কোনো বিষয় নয়, বরং এটি মানুষের তৈরি বলে মন্তব্য করেছেন জাপানের নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক তাসুকু হোনজো।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমন চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন তিনি। খবর এশিয়ান সাইন্টিস্ট ম্যাগাজিনের।

নোবেল বিজয়ী এ প্রফেসর বলেন, এতদিন পর্যন্ত গবেষণা করে আমি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, তা থেকে আমি শতভাগ নিশ্চিত করে বলতে পারি, করোনাভাইরাস প্রাকৃতিক কোনো বিষয় নয়। এটা বাদুর থেকেও আসেনি। চীন এই ভাইরাসটি তৈরি করেছে।"

এছাড়াও যুগান্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে--

"তিনি আরো বলেন, আমি চার বছর চীনের উহানের ল্যাবরেটরিতেই কাজ করেছি এবং ল্যাবরেটরির সব স্টাফের সঙ্গেই আমার পরিচয় আছে। করোনা মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পর আমি তাদের সঙ্গে ফোনে বার বার আলাপ-আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।"

বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে--

"জাপানের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিজ্ঞানী অধ্যাপক তাসুকু হনজো বলেছেন, নোভেল করোনাভাইরাস প্রাকৃতিক কিছু নয়, এটা মানুষের হাতে তৈরি। তিনি বলেন, তার এ বক্তব্য কোনো না কোনো দিন সত্য প্রমাণিত হবে। যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয় তাহলে তার নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহার করে নেওয়া যাবে, এতে তার কোনো আপত্তি নেই। মিডিয়াতে সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেন। প্রফেসর হনজো বলেন, নোভেল করোনাভাইরাস যদি প্রকৃতি থেকে আসত তা হলে, সারা বিশ্ব একই সময়ে একইভাবে এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতো না।"

এ দুটি সংবাদমাধ্যম ছাড়াও বাংলাদেশি আরও অনেক অনলাইন পোর্টালে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে।


একইসাথে সামাজিক মাধ্যমেও খবরটি ব্যাপক প্রচার পেয়েছে।



 ফ্যাক্ট চেক:

প্রথমত, যুগান্তর "এশিয়ান সাইন্টিস্ট ম্যাগাজিন" নামক যে সংবাদমাধ্যমের বরাতে খবরটি প্রকাশ করেছে ওই সংবাদমাধ্যমে এমন কোনো খবর প্রকাশিত হয়নি। বরং উল্টো খবর প্রকাশিত হয়েছে যার শিরোনাম, "Nobel Laureate Tasuku Honjo Refutes Link To 'Man-Made' Coronavirus Claim".

২৮ এপ্রিল প্রকাশিত www.asianscientist.com এর প্রতিবেদনে বিজ্ঞানী তাসুকু হনজো'র একটি বিবৃতি উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে তার নামে যে খবর ছড়িয়েছে সেগুলো সত্য নয়।

একই প্রতিবেদনে জাপানের Kyoto University এর ওয়েবসাইটে ২৭ এপ্রিল প্রকাশিত বিজ্ঞানী হাসুকু হনজো'র বিবৃতির লিংক দেয়া রয়েছে।

বিজ্ঞানী হনজো কয়োটো ইউনির্ভাসিটির Institute for Advanced Study এর ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল।

তিনি তার বিবৃতিতে বলেছেন, "In the wake of the pain, economic loss, and unprecedented global suffering caused by the COVID-19 pandemic, I am greatly saddened that my name and that of Kyoto University have been used to spread false accusations and misinformation.

...At this stage, when all of our energies are needed to treat the ill, prevent the further spread of sorrow, and plan for a new beginning, the broadcasting of unsubstantiated claims regarding the origins of the disease is dangerously distracting."

অর্থাৎ, করোনাভাইরাস চীনের তৈরি বলে তার উদ্ধৃতি হিসেবে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত বক্তব্যকে তিনি 'ভুয়া অভিযোগ ও ভুয়া তথ্য' বলে অভিহিত করেছেন।

বাতাং সংস্থা এএফপি এ বিষয়ে একটি ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ২৯ এপ্রিল। সংবাদমাধ্যমটির পক্ষ থেকে কয়োটো ইউনির্ভাসিটিতে যোগাযোগ করা হলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হনজো কখনো চীনে কাজ করেননি।

কয়োটো ইউনির্ভাসিটির ওয়েবসাইটে হনজোর যে প্রোফাইল রয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে তিনি তার পুরো জীবনে শুধু জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করেছেন।

Related Stories