সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি পেজ ও গ্রুপে একটি কনসার্টে একজন নারীর বেসুরো কণ্ঠে গান গাওয়ার একটি ভিডিও শেয়ার করে বলা হচ্ছে, উক্ত নারী বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল)-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আয়োজিত কনসার্টে গান গাইছেন। এরকম কয়েকটি ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ২৫ ডিসেম্বর 'Khan M. Sohan' নামে একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে একটি কনসার্টে একজন নারীর বেসুরো কণ্ঠে গান গাওয়ার একটি ভিডিও শেয়ার করে বলা হয়, "বিপিএল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কনসার্ট এর এই নারী শিল্পী কোন মেধায় মঞ্চে এসেছেন, প্রশ্ন রইলো!! সার্ভিস মেধায় নাকি সার্ভিস কোটায়.... 🐸🐸"। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের দাবিটি সঠিক নয়। মঞ্চে মাইক্রোফোন হাতে ওই নারী বিপিএলের মঞ্চে গান গাইছেন না। প্রকৃতপক্ষে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সোদপুরে অনুষ্ঠিত পানিহাটি উৎসব ও বইমেলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী নন্দিনী দত্তের গান গাওয়ার ভিডিওকে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার ভিডিও বলে প্রচার করা হচ্ছে।
ভিডিওটি থেকে কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে গত ২৩ ডিসেম্বর 'Panihati Utsav O Boimela' নামে একটি ফেসবুক পেজে আলোচ্য ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়, "Pyarelal (প্যারেলাল) গানটি গেয়ে সকলের মন জয় করলেন আমাদের সকলের পছন্দের নায়িকা"। ফেসবুক পোস্টটি দেখুন--
আরো সার্চ করে 'Panihati Utsav' নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ২২ ডিসেম্বর "পানিহাটি উৎসব থেকে সরাসরি l" শিরোনামে আপলোডকৃত আরেকটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটির ৪৪ মিনিটে গিয়ে আলোচ্য ভিডিওটি মত দৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। ওই দৃশ্যের শুরুতে একটি মঞ্চের অনুষ্ঠানের উপস্থাপককে নন্দিনী দত্ত নামে একজন অভিনেত্রীকে মঞ্চে আহ্বান করতে দেখা যায়। পরবর্তীতে উপস্থাপকের অনুরোধে নন্দিনী দত্ত ওই গানটি পরিবেশন করেন। আলোচ্য ভিডিওটিতে দেখানো গানের শিল্পী এবং নন্দিনী দত্ত অভিন্ন ব্যক্তি। ইউটিউব ভিডিওটি দেখুন--
অর্থাৎ আলোচ্য পোস্টের দাবিটি সঠিক নয়। আলোচ্য ভিডিওটিতে বিপিএলের মঞ্চে গান গাওয়ার কোনো দৃশ্য দেখানো হয়নি। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সোদপুরে অনুষ্ঠিত একটি কনসার্টের দৃশ্যকে বিপিএলের দৃশ্য বলে প্রচার করা হচ্ছে।
সুতরাং ভারতে অনুষ্ঠিত একটি কনসার্টের দৃশ্যকে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দৃশ্য বলে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে যা বিভ্রান্তিকর।





 
                               
                               
                               
                               
                              