সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি ও পেজ থেকে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড পোস্ট করা হচ্ছে। উক্ত ফটোকার্ডে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বরাতে হলা হচ্ছে, "রাখাইন করিডোর নিয়ে বিএনপি বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনার কিছুই নেই। স্বৈরাচার হাসিনাকে তাড়িয়ে জনগণ আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। আমার যা ভালো মনে হয়েছে, তাই করেছি"। এরকম কয়েকটি ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ২৯ এপ্রিল 'Aminul Islam Khan Amu' নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আলোচ্য ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়, "মহাজনের কি উদ্ধত কথাবার্তা!"। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ফটোকার্ডটি নকল। প্রথম আলোর ফটোকার্ড ফরম্যাট ব্যবহার করে এটি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও আলোচ্য ফটোকার্ডটি প্রথম আলো'র তৈরি করা নয় বলে গণমাধ্যমটিও নিশ্চিত করেছে।
ফটোকার্ডে উল্লিখিত তারিখ (২৯ এপ্রিল) অনুযায়ী প্রথম আলো'র ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে সার্চ করে গত ২৯ এপ্রিল পেজটিতে এমন কোনো ফটোকার্ড পাওয়া যায়নি।
গণমাধ্যমটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত অন্যান্য ফটোকার্ডের সাথে আলোচ্য ফটোকার্ডটির ফন্ট ও ডিজাইন সহ কয়েকটি অসঙ্গতি পাওয়া যায়। আলোচ্য ফটোকার্ড (বামে) ও গণমাধ্যমটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ডের (ডানে) পাশাপাশি তুলনা দেখুন--
এমনকি সার্চ করে দাবি অনুযায়ী প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের এরকম কোনো মন্তব্যের তথ্য-খবর প্রথম আলো সহ কোনো গণমাধ্যমের কোনো সংস্করণেই পাওয়া যায়নি।
এদিকে গণমাধ্যমটি'র ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে গত ২৯ এপ্রিল আলোচ্য ফটোকার্ডটির বিষয়ে 'প্রথম আলোর নামে ছড়ানো এই ছবি ও তথ্যটি নকল, আমাদের তৈরি নয়।' লেখা তথ্য সহ একটি ফটোকার্ডযুক্ত পোস্ট পাওয়া যায়। পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ আলোচ্য ফটোকার্ডটি প্রথম আলোর নয় বরং নকল।
সুতরাং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জড়িয়ে প্রথম আলো নামে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।