ট্রাম্পের হাতে হাসিনার ছবি দাবিতে আলোচ্য ভিডিওটি এডিটেড
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভিন্ন ঘটনার ভিডিও এডিট করে হাসিনার ছবি যুক্ত করে আলোচ্য ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি ও পেজ থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, তিনি নিজ হাতে শেখ হাসিনার ছবি প্রদর্শন করছেন। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর ‘Shaik Musa’ নামক একটি আইডি থেকে ভিডিওটি পোস্ট করে উল্লেখ করা হয়, “শেখ হাসিনার সালাম নিন ফিরবে আবার সুদিন!'✊🔥 Donald J. Trump আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।” নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য ভিডিওটি সম্পাদিত। আলোচ্য ভিডিওতে দৃশ্যত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে শেখ হাসিনার ছবি প্রদর্শনের নয়। বরং এটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।
ভাইরাল ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ভিডিওটির নিচে সাবহেডে “President Trump to sign to orders to education dept.” লেখা রয়েছে।
পরবর্তীতে আলোচ্য বাক্যটি দিয়ে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে “Trump signs executive order to shut down Education Department” শিরোনামে ‘Face the Nation’ নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ২০২৫ সালের ২১ মার্চ প্রকাশিত ভিডিওর ১৩ মিনিট ৪০ সেকেন্ডে ভাইরাল ভিডিওর সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। যেখানে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বৃহস্পতিবার এক নির্বাহী আদেশে সই করেছেন, যার মাধ্যমে শিক্ষা বিভাগ ভেঙে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে বিভাগটি সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত করতে হলে তাঁর এখনো কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন। ভিডিওটি দেখুন--
পাশাপাশি, কি ওয়ার্ড সার্চ করে “Donald Trump signs executive order to ‘eliminate’ Department of Education” শিরোনামে কাতার ভিত্তিক সম্প্রচার মাধ্যম ‘Al Jazeera’ ওয়েবসাইটে আরো একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ২১ মার্চ ২০২৫ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবির সঙ্গে ভাইরাল ভিডিওর মিল পাওয়া যায়। যেখানে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শিক্ষা বিভাগ বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। তবে তাঁর এই পদক্ষেপ আদালতের চ্যালেঞ্জ ও সাংবিধানিক বাধার মুখে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভিন্ন একটি ঘটনার অরিজিনাল ভিডিওর আলোচ্য অংশে এডিট করে শেখ হাসিনার ছবি প্রতিস্থাপন করে আলোচ্য ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।
সুতরাং ডোনাল্ড ট্রাম্প শেখ হাসিনার ছবি প্রদর্শন করেছে দাবিতে এডিটেড ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।