ভিডিওটি নেপালের, বাংলাদেশে পাহাড়ি যুবকের লাথি দেওয়ার নয়
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ভিডিওটি বাংলাদেশের পাহাড়ি যুবক কর্তৃক বাঙালি যুবককে লাথি দেওয়ার নয় বরং নেপালে জেন-জি আন্দোলনের।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি ও পেজ থেকে একজন লাথি দেওয়ার একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, এটি বাংলাদেশের পাহাড়ি যুবক কর্তৃক বাঙালি যুবককে লাথি মারা দৃশ্য। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ৪ অক্টোবর ‘The Thriving Teen’ নামক একটি আইডি থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে উল্লেখ করা হয়, “এরা হলো পাহাড়ি বাংলাদেশি দেখুন।” নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য দাবিটি সঠিক নয়। আলোচ্য ভিডিওটি বাংলাদেশে পাহাড়ি যুবক কর্তৃক বাঙালি যুবককে লাথি দেওয়ার ঘটনার নয় বরং এটি নেপালে গত সেপ্টেম্বরে সংঘটিত জেন-জি আন্দোলনের দৃশ্য।
ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিওটির কি ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ‘जेनजी आन्दोलन नियन्त्रण बाहिर, नगरपालिका, सरकारी कार्यालय, बिधन्न नेताहरुको घरमा तोडफोड र आगजनी’র শিরোনামে নেপাল ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘Nigrani TV’ এর ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ২০২৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ১৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ডের ভিডিওর ১২ মিনিট ১৩ সেকেন্ডে থাকা দৃশ্যের সঙ্গে ফেসবুকে আলোচ্য দাবিতে প্রচারিত ভাইরাল ভিডিওর মিল পাওয়া যায়। যেখানে বলা হয়, জেনজি আন্দোলন নিয়ন্ত্রণের বাইরে, পৌরসভা, সরকারি কার্যালয় এবং বিভিন্ন নেতার বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। স্ক্রিনশট দেখুন--
পাশাপাশি, রিভার্স ইমেজ সার্চ করে নেপাল ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘Digital Voice Media’র ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ভিডিওর সঙ্গে ফেসবুকে আলোচ্য দাবিতে প্রচারিত ভাইরাল ভিডিওর মিল পাওয়া যায়। যেখানে বলা হয়, এটাই তো জেনজেডদের অবস্থা, তারপর দেশটা কীভাবে গড়ে উঠবে (অনূদিত)? ভিডিওটি দেখুন--
অর্থাৎ আলোচ্য ভিডিওটি বাংলাদেশে কোনো পাহাড়ি যুবকের হাতে বাঙালি যুবককে লাথি মারার ঘটনা নয় বরং এটি নেপালে গত সেপ্টেম্বরে হওয়া জেন-জি আন্দোলনের একটি দৃশ্য।
সুতরাং, নেপালে জেন-জি আন্দোলনের ভিডিও দিয়ে বাংলাদেশে পাহাড়ি যুবক কর্তৃক বাঙালি যুবককে লাথি দেওয়ার ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে; যা বিভ্রান্তিকর।




