ভারতের ওয়াসিমা শেখের পুরোনো খবরকে নতুন করে প্রচার
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ২০২০ সালে ভারতের ওয়াসিমা শেখ ডেপুটি কালেক্টর হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়, নতুন করে প্রচার বিভ্রান্তিকর।

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন পেজে একটি খবর শেয়ার করা হচ্ছে, যেখানে ওয়াসিমা শেখ নামে ভারতের মহারাষ্ট্রের এক নারীর সেদেশের ডেপুটি কালেক্টর হওয়ার ঘটনা বর্ণনা করা হচ্ছে। এমন তিনটি ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে ।
গত ১০ এপ্রিল "ধুমকেতু" নামের একটি ফেসবুক পেজে একটি খবরের লিংক পোস্ট করে বলা হয়, 'চুড়ি বিক্রি করে পিএসসি পরীক্ষায় পাশ করে ডেপুটি কালেক্টর হলেন এক অসহায় মায়ের কন্যা'। অনুপ্রেরণামূলক এই খবরের লিংকে গিয়ে এর বিস্তারিত অংশে দেখা যায় গত ৯ এপ্রিল, ২০২২ ডেটলাইনে খবরটি প্রকাশিত হয়। দেখুন ওই পোস্টের স্ক্রিনশট--
এখানে আলাদাভাবে খবরের বিস্তারিত অংশের স্ক্রিনশটে খবরটি প্রকাশের সময় বা ডেটলাইন দেখুন--
অর্থাৎ ফেসবুকে পোস্টের সময়ক্ষণ ও সংবাদটি প্রকাশের দিন তারিখ দেখে পাঠক স্বাভাবিকভাবেই মনে করতে পারে খবরটি নতুন।
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, খবরটি সাম্প্রতিক নয় বরং ২০২০ সালের। ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এটি প্রকৃতপক্ষে ২০২০ সালে ভারতের মহারাষ্ট্রের দরিদ্র পরিবারের সন্তান ওয়াসিমা শেখের ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার ঘটনা।
কী ওয়ার্ড সার্চ করে এবং খবরে প্রকাশিত ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে দেখা যায়, ওয়াসিমা শেখের ঘটনাটি মূলত ২০২০ সালের জুন মাসে প্রথম প্রকাশিত হয়। তিনি ওই বছরেই ভারতের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে নিয়োগ পান। ভারতের মুম্বাই মিরর পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে ২০২০ সালের ২৪ জুন প্রকাশিত এ সংক্রান্ত একটি খবরের স্ক্রিনশট দেখুন--
খবরটির লিংক দেখুন এখানে।
এছাড়া, ভারতের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একই খবরের আরো কয়েকটি লিংক দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
এদিকে, আলোচ্য খবরটির এক পর্যায়ে বলা হয়েছে ২০২০ সালে ওয়াসিমা ভারতের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। দেখুন--
পুরো খবরটি পড়ুন এখানে।
অর্থাৎ তাদের ভাষ্যমতেই খবরটি দুই বছর পুরোনো, সাম্প্রতিক নয়।
সুতরাং ২০২০ সালের পুরোনো একটি আন্তর্জাতিক খবর নতুন ডেটলাইনে নতুন করে প্রকাশ করা হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর।