শেখ হাসিনার লাইভ ভাষণের এই ভিডিওটি পুরোনো
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ২০২৪ সালের ১ আগস্ট শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের ভিডিওকে সাম্প্রতিক বলে দাবি করে প্রচার করা হচ্ছে।

সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি (লাইভ) বক্তব্য প্রদানের একটি ভিডিও শেয়ার করে বলা হচ্ছে, সম্প্রতি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে সরাসরি বক্তব্য প্রদান করেন শেখ হাসিনা। এরকম কয়েকটি ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ১৫ অক্টোবর 'জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু' নামে একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে ভিডিওটি পোস্ট করে বলা হয়, "সরাসরি ভাষণ দিচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা || Latest News || �| LIVE �"। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য দাবিটি বিভ্রান্তিকর। ভিডিওটি সাম্প্রতিক নয়। ২০২৪ সালের ১ আগস্ট জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই বক্তব্যের ভিডিওকে সাম্প্রতিক বলে দাবি করে প্রচার করা হচ্ছে।
আলোচ্য ভিডিওটি সম্পর্কে জানতে আলোচ্য ভিডিওটি থেকে কি-ফ্রেম কেটে নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ২০২৪ সালের ১ আগস্ট বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম বায়ান্নো টিভির ইউটিউব চ্যানেলে "সুষ্ঠু তদন্তের জন্য জাতিসংঘের কাছে আবেদন করেছি : প্রধানমন্ত্রী | Sheikh Hasina | United Nations" শিরোনামে আপলোড করা একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। প্রচারিত ভাষণের ভিডিওতে আলোচ্য ভিডিওটির মত দৃশ্য ও বক্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। ইউটিউব ভিডিওটি দেখুন--
আরো সার্চ করে ২০২৪ সালের ১ আগস্ট বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম চ্যানেল টোয়েন্টিফোর, মাছরাঙা নিউজ, দ্য ডেইলি স্টারের ইউটিউব চ্যানেলে একই রকম দৃশ্যসহ প্রচারিত ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।
তবে ২০২৪ সালের ১ আগস্ট শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যের ভিডিওকে এডিট করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছোট ছোট ক্লিপ যুক্ত করে আলোচ্য ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।
অর্থাৎ আলোচ্য ভিডিওটি ২০২৪ সালের ১ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদানের সময়ের একটি ভিডিওকে শেখ হাসিনার সম্প্রতি বক্তব্য দেওয়ার লাইভ ভিডিও বলে প্রচার করা হচ্ছে।
সুতরাং ২০২৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রদানের ভিডিওকে সাম্প্রতিক বলে দাবি করে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।




