ভিডিওটি দুবাইয়ের বহুতল ভবনের, নেতানিয়াহুর অফিস কক্ষে হামলার নয়
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, দুবাইয়ের মেরিনা শহরে একটি ৬৭ তলাবিশিষ্ট বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ওই ভিডিওটি ধারণ করা হয়।

সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও শেয়ার করে বলা হচ্ছে, ভিডিওটি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিকক্ষে হামলার সময়ে ধারণ করা হয়েছে। এরকম কয়েকটি ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ১৪ জুন 'NN TV বাংলা' নামে একটি ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করে বলা হয়, "বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু পার্লামেন্টের অফিস কক্ষ টার্গেট করে মি'সা'ই'ল হা'ম'লা করে ইরান"। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের দাবিটি সঠিক নয়। ভিডিওটি ইসরায়েলের নয় বরং দুবাইয়ের মেরিনা শহরে গত ১৩ জুন ৬৭ তলাবিশিষ্ট একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের সময়ে উক্ত ভিডিওটি ধারণ করা হয়।
আলোচ্য ভিডিওটির সম্পর্কে জানতে ভিডিওটি থেকে কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য সানের ওয়েবসাইটে গত ১৪ জুন "TOWERING INFERNO Terrifying moment massive fire rips through 67-storey Dubai Marina skyscraper as 4,000 people flee from high rise" শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে আলোচ্য ভিডিওটির মত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দুবাইয়ের মেরিনা শহরে ৬৭ তলাবিশিষ্ট একটি আকাশচুম্বী ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে ৬ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়। অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। স্ক্রিনশট দেখুন--
দ্য সানের ইউটিউব চ্যানেলেও আলোচ্য ভিডিওটি সংযুক্ত করে এই একই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। দেখুন--
পরবর্তীতে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম খালিজ টাইমসের ওয়েবসাইটে গত ১৩ জুন "Dubai: Fire breaks out at high-rise building in Marina; 3,800 residents evacuated" শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, "শুক্রবার রাতে দুবাই মেরিনার একটি বহুতল আবাসিক ও বাণিজ্যিক টাওয়ারের উপরের তলা থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা খালিজ টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন।(গুগলের সাহায্যে অনূদিত)"। স্ক্রিনশট দেখুন--
এছাড়াও পাকিস্তানভিত্তিক গণমাধ্যম ডন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও আলোচ্য ভিডিওটি সম্পর্কে একই তথ্য জানা যায়।
অর্থাৎ আলোচ্য পোস্টের দাবিটি সঠিক নয়। আলোচ্য ভিডিওটি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ইরানের হামলার নয়। মূলত দুবাইয়ের একটি বহুতল ভবনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আলোচ্য ভিডিওটি ধারণ করা হয়।
সুতরাং দুবাইয়ের একটি বহুতল ভবনের অগ্নিকাণ্ডের ভিডিওকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ইরানের হামলার ভিডিও বলে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে যা বিভ্রান্তিকর।