হিজাব বিরোধী আন্দোলনের এই ছবিটি ইরানের নয়
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ইরানে চলমান হিজাব বিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে জার্মানিতে চলা এক প্রতিবাদ থেকে ছবিটি তোলা হয়।
![হিজাব বিরোধী আন্দোলনের এই ছবিটি ইরানের নয় হিজাব বিরোধী আন্দোলনের এই ছবিটি ইরানের নয়](https://www.boombd.com/h-upload/2022/09/27/986819-iran-protest.webp)
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি, পেজ ও গ্রুপে একটি ছবি পোস্ট করে বলা হচ্ছে, ছবিটি সম্প্রতি ইরানে চলমান হিজাব বিরোধী আন্দোলনের সময়ে ধারণ করা। ছবিতে দেখা যায় এক তরুণী পেটে MASHA AMINI লিখে "টপলেস প্রোটেস্ট" অর্থাৎ উন্মুক্ত বক্ষে প্রতিবাদ করছেন। এরকম কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর "Rafij Khan" নামে একটি আইডি থেকে একটি ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, "সুতা বেশি টানলে তা ছিড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিই হয়েছে ইরানে। হিজাব না পরায় মোরাল পুলিশের হাতে মাশা আমিনির খুনের প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠা ইরানের জনসাধারণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি।" অর্থাৎ দাবি করা হচ্ছে ছবিটি ইরানে চলামান হিজাব বিরোধী আন্দোলন থেকে তোলা। পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য ছবিটি ইরানের নয়। ছবিটি সম্প্রতি ইরানে চলা হিজাব বিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে জার্মানপ্রবাসী ইরানীদের পরিচালিত হিজাব বিরোধী আন্দোলনের সময়ে তোলা হয়।
ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে "Jenny Wenhammar" নামের একটি টুইটার আইডিতে আলোচ্য ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। ওই পোস্টে বলা হয়, ইরানের প্রাক্তন মুসলিম ও এক্টিভিস্ট মেলিকা আহমাদি ২০২২ সালের ইরানের হিজাব বিরোধী আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন। পোস্টটি দেখুন--
ওই টুইটার পোস্টের সূত্র ধরে মেলিকা আহমাদির টুইটার একাউন্টে গিয়ে আলোচ্য ছবিটির ভিন্ন দিক থেকে একটি ভার্সন খুঁজে পাওয়া যায়। মেলিকা আহমাদির ওই পোস্টে তার প্রতিবাদকালীন অবস্থান হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন জার্মানির Cologne নামের একটি স্থানের। টুইটার পোস্টটি দেখুন--
মেলিকা আহমাদির টুইটার প্রোফাইল ঘুরে দেখা যায়, মেলিকা নিজেকে ইরানের একজন প্রাক্তন মুসলিম হিসেবে দাবী করেছেন। এছাড়াও, তিনি একজন আলোকচিত্রকর এবং শিল্পী। গত ২৩ সেপ্টেম্বর পুলিশি হেফাজতে ইরানী তরুনী মাশা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় শুরু হওয়া হিজাব বিরোধী আন্দোলনের তিনি একজন সমর্থক ও একটিভিস্ট।
অর্থ্যাৎ ইরানে চলমান হিজাব বিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে জার্মানিতে চলা এক প্রতিবাদের সময়ে তোলা ছবিকে ইরানের প্রতিবাদের ছবি দাবি করা হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর।