পাঠ্য বইয়ের দাবি করা এই ছবিটি এডিটেড
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ২০২০ সালে মুদ্রিত একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জীববিজ্ঞান বইয়ের একটি ছবিকে এডিট করে প্রচার করা হচ্ছে।
![পাঠ্য বইয়ের দাবি করা এই ছবিটি এডিটেড পাঠ্য বইয়ের দাবি করা এই ছবিটি এডিটেড](https://www.boombd.com/h-upload/2023/06/23/1009692-text-book-edited-pic.webp)
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক পেজ ও আইডি থেকে একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, ছবিটি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্য বইয়ের। ছবিটিতে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস প্রক্রিয়া সম্পর্কিত পাঠে এক তরুণ ও তরুণীরকে (লম্বা চুলের) 'চুম্বনরত' অবস্থায় দেখা যায়। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ১৯ জুন 'Ummea Habiba' নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে লেখা হয়েছে, "আমাদের বই এ ত এইসব ছিল না 😖😖😖😖 এটা কি ধরনের কথা এমন যদি হয় তাহলে শিক্ষা ব্যাবস্থা একদম শেষ বলতে হবো"। স্ক্রিনশট দেখুন--
একটি পোস্টের মন্তব্য সেকশনে এক ব্যক্তিকে দাবি করতে দেখা যায়, ছবিটি একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জীববিজ্ঞান বইয়ের। দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ছবিটি এডিট করা।
কমেন্টের সূত্র ধরে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জীববিজ্ঞান দ্বিতীয়পত্রে বইয়ের একাধিক সংস্করণ পর্যালোচনার পর, ২০২০ সালে মুদ্রিত সপ্তম সংস্করণের ১৮০ পৃষ্ঠায় মূল ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। তবে গাজী আজমল, গাজী আসমত লিখিত উক্ত বইয়ের কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস প্রক্রিয়া অংশে যুক্ত করা ছবির সাথে আলোচ্য ফেসবুক পোস্টগুলোতে যুক্ত করা ছবির মিল নেই। কপিরাইট সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতার জন্য বইটির কোনো পিডিএফ প্রতিবেদনে যুক্ত করা যায়নি।
তবে মূল বইয়ে থাকা ছবি (বামে) ও আলোচ্য ফেসবুক পোস্টে যুক্ত করা ছবি (ডানে) তুলনা দেখানো হলো--
অর্থাৎ মূল বইয়ের ছবিতে পানিতে ডুবে গেলে কারো শ্বাসপ্রশ্বাস প্রক্রিয়া কিভাবে সচল রাখা যাবে সেই প্রক্রিয়া দেখানো হয়েছে। সেখানে দৃশ্যত একটি শিশুর ছবিকে এডিট করে তরুণীর মত বানিয়ে তরুণ-তরুণীর দৃষ্টিকটু ছবি হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে পোস্টগুলোতে।
সুতরাং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জীববিজ্ঞান দ্বিতীয়পত্রের একটি অধ্যায়ের ছবিকে বিকৃত করে প্রচার করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমের একাধিক আইডি ও পেজ থেকে।