প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে জামায়াত আমিরের মন্তব্যযুক্ত এই ফটোকার্ডটি ভুয়া
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, আলোচ্য ফটোকার্ডটি তাদের বানানো নয় বলে একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে কালের কণ্ঠ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি ও পেজ থেকে জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠের লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড পোস্ট করা হচ্ছে। যেখানে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের বরাতে বলা হচ্ছে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাদের বেডরুমে নিতে চেয়েছিলেন। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ২৬ মে 'Abu Younus' নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ফটোকার্ডটি পোস্ট করে লেখা হয়, "লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা....।" নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য ফটোকার্ডটি নকল। জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ফটোকার্ড ও নিউজ লিংক পোস্ট করে আলোচ্য ফটোকার্ডটি তাদের বানানো নয় বলে নিশ্চিত করেছে।
কি-ওয়ার্ড ধরে সার্চ করে আলোচ্য দাবির প্রেক্ষিতে কোনো ফটোকার্ড বা প্রতিবেদন কালের কণ্ঠর ওয়েবসাইট এবং ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যমেও এ ধরণের কোনো প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে, কালের কণ্ঠের ফেসবুক পেজে ২৬ মে "কালের কণ্ঠর নামে ভাইরাল ফটোকার্ডটি সম্পাদিত" শিরোনামে একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। যেখানে বলা হয়, ভাইরাল ফটোকার্ডটি ফেক। নিচে ফটোকার্ডটি দেখুন--
পাশাপাশি, ওই ফটোকার্ডের কমেন্টে পত্রিকাটির একটি নিউজ লিংক যোগ করা হয়। “কালের কণ্ঠর নামে ভাইরাল ফটোকার্ডটি সম্পাদিত” শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুল আলমের বক্তব্য সংশ্লিষ্ট একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে জামায়াত আমিরের বক্তব্য সম্পাদিত। কালের কণ্ঠের মূল ফটোকার্ডে জামায়াত আমিরের বক্তব্য, "করিডর ও বন্দর বিষয়ে সরকারকে আমাদের অবস্থান জানানো হয়েছে, আমরা 'নো' বলেছি। স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ আলোচ্য পোস্টের দাবিটি ভুয়া। দৈনিক পত্রিকা কালের কণ্ঠের লোগো যুক্ত করে প্রচার করা হলেও আলোচ্য ফটোকার্ডটি কালের কণ্ঠ তৈরি করেনি।
সুতরাং প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে জামায়াত আমিরের মন্তব্য দিয়ে কালের কণ্ঠের লোগোযুক্ত ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।