ভিডিওটি সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডের পর অক্ষত কুরআন উদ্ধারের নয়
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, গত ৪ জুন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনার আগেও ভিন্ন ঘটনার এই ভিডিওটি অনলাইনে দেখা গেছে।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক পেজ থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আগুনে সব পুড়ে গেলেও পবিত্র কুরআনের একটি কপি অক্ষত রয়েছে। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ৬ জুন 'Mohammad Nazmul Khan' নামের ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি শেয়ার করে লেখা হয়, "সীতাকুণ্ডে আগুনে সব পুড়ে গেলেও কোরআন পুড়ে যায় নি।" অর্থাৎ দাবি করা হচ্ছে ভিডিওটি গত ৪ তারিখ শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডে অগ্নি দুর্ঘটনার। পোস্টের স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ভিডিওটি সাম্প্রতিক নয় বরং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনার আগেই ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হতে দেখা গেছে।
ভিডিওটি থেকে কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স সার্চ করার পর, "سه رهاتی" নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ১৬ এপ্রিল ভিডিওটি পোস্ট করতে দেখা যায়। ভিডিওটি দেখুন--
এপ্রিল মাসে পোস্ট করা ভিডিওর স্ক্রিনশট এবং বিভ্রান্তিকর দাবির ফেসবুক ভিডিওর স্ক্রিনশটের পাশাপাশি তুলনা দেখুন--
অর্থাৎ গত ৪ জুন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনার আগেই ভিডিওটি ফেসবুকে প্রচারিত হয়ে আসছিল। ফলে ভিডিওটি সীতাকুণ্ডের সাম্প্রতিক দূর্ঘটনার হওয়া সম্ভব নয়। তবে বুম বাংলাদেশ ভিডিওটি কোন ঘটনার তা আলাদাভাবে যাচাই করেনি।
প্রসঙ্গত গত ৪ জুন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের একটি কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বহু মানুষের হতাহতের খবর প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে।
সুতরাং পুরোনো ভিডিওকে সাম্প্রতি সীতাকুন্ডের দূর্ঘটনার সময়কার দাবি করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে, যা বিভ্রান্তিকর।