'শেখ হাসিনার পক্ষে লড়ছেন বিএনপির আইনজীবী' এই ফটোকার্ডটি সম্পাদিত
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, দৈনিক যুগান্তরের ফরম্যাটে তৈরিকৃত আলোচ্য ফটোকার্ডটি তাদের নয় বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।

সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি ফটোকার্ড পোস্ট করে বলা হচ্ছে, দৈনিক যুগান্তর "শেখ হাসিনার পক্ষে লড়ছেন বিএনপির আইনজীবী!" শিরোনামে একটি সংবাদের ফটোকার্ড প্রচার করা হয়েছে। এরকম কয়েকটি ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে।
০৩ জুন 'Md Masum Masum' নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে আলোচ্য ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়, "বিএনপির আইনজীবী ওরা টাকার লোভে নিজের বউকে আরেক জনের হাতে তুলে দিতে পারবে। এই জানোয়ার গুলোর লজ্জা বলতে কিছুই নেই।" ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ফটোকার্ডটি সম্পাদিত। দৈনিক যুগান্তরের একটি ফটোকার্ড সম্পাদনা করে এটি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও প্রচারিত আলোচ্য ফটোকার্ডটি তাদের তৈরি করা নয় বলে গণমাধ্যমটি নিশ্চিত করেছে।
ফটোকার্ডে উল্লিখিত তারিখ (১ জুন) অনুযায়ী 'র ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে সার্চ করে আলোচ্য শিরোনামের কোনো ফটোকার্ড পাওয়া যায়নি। তবে একই সময়ের একই দেখতে আরেকটি ছবিযুক্ত ভিন্ন শিরোনামের একটি ফটোকার্ড পাওয়া যায়। আলোচ্য ফটোকার্ড (বামে) ও যুগান্তরের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে পাওয়া মূল ফটোকার্ড (ডানে) এর পাশাপাশি তুলনা দেখুন--
এদিকে দৈনিক যুগান্তরের অনলাইন সংস্করণে গত ০২ জুন আলোচ্য ফটোকার্ডটির বিষয়ে 'যুগান্তরের ফটোকার্ড এডিট করে ভুয়া তথ্য প্রচার' শিরোনামের একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটির স্ক্রিনশট দেখুন--
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়; ভুয়া তথ্য সংবলিত এ ধরনের ফটোকার্ড ইতোমধ্যে যুগান্তরের নজরে এসেছে। ওই কার্ডটি যুগান্তরের নয়। প্রকৃতপক্ষে ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহার করে যুগান্তরের ফটোকার্ডের মতো দেখতে একটি ফটোকার্ড তৈরি করা হয়েছে। সেখানে মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করে যুগান্তরের নামজুড়ে দেওয়া হয়েছে এবং সেটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরো উল্লেখ করা হয়; যুগান্তরের ফটোকার্ডের বক্তব্যটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের। ১ জুন রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের পর তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালে যে বিচার হচ্ছে এ বিচার অতীতের প্রতিশোধ নয়, এটি ভবিষ্যতের জন্য প্রতিজ্ঞা।
অর্থাৎ আলোচ্য ফটোকার্ডটি সম্পাদনার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।
সুতরাং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দৈনিক যুগান্তরের একটি ফটোকার্ড সম্পাদনা করে ভুয়া তথ্য প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।