ফেক নিউজ
একসঙ্গে ৪ সন্তান জন্ম দেওয়ার খবরটি পুরনো
২০২০ সালের এপ্রিলে চুয়াডাঙ্গায় এক নারী একসঙ্গে ৪ সন্তান জন্ম দেওয়ার খবরটি সংবাদ মাধ্যমে আসে।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে 'একসঙ্গে ৩ সন্তান জন্মের পর এবার ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন মারুফা' শিরোনামে একটি খবর ছড়ানো হচ্ছে যেখানে পোস্টের সাথে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালের খবরের লিঙ্ক সংযুক্ত আছে। এরকম দুটি খবর দেখুন এখানে ও এখানে।
একটি পোর্টালে লেখা হয়েছে-
''চুয়াডা'ঙ্গার দামুড়হুদা উপজে'লার জগন্নাথপুর গ্রামের এরশাদ আলীর স্ত্রী' মা'রুফা খাতুন এবার চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টায় মা'রুফাকে চুয়াডা'ঙ্গা শহরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করলে চিকিৎসক জিন্নাতুল আরার তত্ত্বাবধানে দুটি পুত্র ও দুটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন।
তবে, মা ও তিন সন্তান সুস্থ থাকলেও এক ছে'লে নবজাতক অ'সুস্থ হওয়ায় চুয়াডা'ঙ্গা সদর হাসপাতা'লের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।
মা'রুফার স্বজনরা জানান, ২০০৯ সালে একই উপজে'লার জগন্নাথপুর গ্রামের আইনাল তরফদারের ছে'লে এরশাদ আলীর স'ঙ্গে মা'রুফা খাতুনের বিয়ে হয়।
বিয়ের দুই বছরের মা'থায় মা'রুফা কন্যা সন্তানের মা হন। এরপর সাত বছর পর ২০১৮ সালে মা'রুফা একস'ঙ্গে দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তবে অ'পুষ্টিজনিত কারণে কয়েক দিন পর তিন সন্তানই মা'রা যায়।
চুয়াডা'ঙ্গার শহরের উপশম নার্সিং হোম ক্লিনিকের চিকিৎসক জিন্নাতুল আরা বলেন,স্বাভাবিক নিয়মে ৩০ মিনিটের মধ্যে চারটি সন্তান প্রসব করেন মা'রুফা। তিন সন্তানসহ মা'রুফাকে তার তত্ত্বাবধানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।''
তবে এবছর নাকি অন্য কোন বছরের ৩০ এপ্রিল চারটি বাচ্চা জন্মগ্রহণ করেছে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি।
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে যে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় মারুফা খাতুন নামে এক নারী গত বছরের (২০২০) ৩০ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা শহরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসক জিন্নাতুল আরার তত্ত্বাবধানে দুটি পুত্র ও দুটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন।
সেসময় খবরটি মূলধারার সংবাদমাধ্যম রাইজিংবিডিতে প্রকাশিত হয়। দেখুন এখানে।
মূলত রাইজিংবিডির খবরটিকেই সম্পূর্ণরূপে কপি করে সম্প্রতি আবার বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে প্রকাশ করা হচ্ছে।
সুতরাং পুরনো একটি খবরকে কোন পুনরায় প্রকাশ করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো বিভ্রান্তিকর।
Claim : একসঙ্গে ৩ সন্তান জন্মের পর এবার ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন মারুফা
Claimed By : Online portals
Fact Check : Misleading
Next Story