নাহিদ-আসিফের ছবি এডিট করে শাপলা চত্বরের আন্দোলনের দাবিতে প্রচার
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, শাপলা চত্বরে আন্দোলনের একটি ছবি এডিট করে আসিফ, নাহিদ ও হাসনাতের ছবি বসিয়ে প্রচার করা হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ এবং গ্রুপে একটি ছবি পোস্ট করে বলা হচ্ছে, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ মাদ্রাসার ছাত্র থাকাকালীন জাতীয় পতাকা আর জাতীয় সংগীতের বিরুদ্ধে মিছিল করতো। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর 'Tanvir Ahamed' নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি পোস্ট করে লেখা হয়, "তাহারা যখন মাদ্রাসার ছাত্র! তাহারা যখন জাতীয় পতাকা আর জাতীয় সংগীতের বিরুদ্ধে মিছিল করতো! আসিফ, নাহিদ, হাসনাত, এমনি আরও কত থোকা থোকা নাম।" নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য ছবিটি এডিটেড। মূলত ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরের আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের একটি ছবি এডিট করে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ হাসান ও সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর ছবি বসিয়ে আলোচ্য ছবিটি প্রচার করা হচ্ছে।
ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করে "Violence in Bangladesh as Islamic activists demand anti-blasphemy law" শিরোনামে 'The Deseret News' এর ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ২০১৩ সালের ৫ মে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে অরিজিনাল ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। যেখানে বলা হয়, ধর্ম বিদ্বেষের বিরুদ্ধে ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের ডাকে একটি প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণ করে আন্দোলনকারীরা। স্ক্রিনশট দেখুন--
নিচে ফেসবুকে প্রচারিত ছবি (বামে) এবং The Deseret News এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ছবির (ডানে) মধ্যে পার্থক্য দেখুন পাশাপাশি--
এদিকে, কি-ওয়ার্ড সার্চ করে জানা যায়, আসিফ মাহমুদ রাজধানীর নাখালপাড়া হোসাইন আলী হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক, নাহিদ ইসলাম রাজধানীর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ এবং হাসনাত আব্দুলাহ কুমিল্লার বুড়িচংয়ের পারুয়ারা আব্দুল মতিন খসরু ইউনিভার্সিটি কলেজে পড়াশোনা করেছেন।
অর্থাৎ ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামের ডাকা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের একটি ছবি এডিট করে আসিফ, নাহিদ ও হাসনাতের ছবি বসিয়ে প্রচার করা হচ্ছে।
সুতরাং শাপলা চত্বর আন্দোলনের পুরোনো ছবিতে আসিফ, নাহিদ ও হাসনাতের ছবি এডিট করে বসিয়ে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।