জাহেদ উর রহমান ও রুমিন ফারহানার যৌথ ছবিটি এআই দ্বারা তৈরি
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, আলোচ্য ছবিটি বাস্তবে ধারণ করা নয় বরং এআই প্রযুক্তিতে এটি তৈরি করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয়ের বিশ্লেষক ড. জাহেদ উর রহমান ও বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানার একত্রিত একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ২১ সেপ্টেম্বর ‘Jast Hasan’ নামক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ছবিটি বাস্তব নয়। কথিত এই যৌথ ছবিটি বাস্তবে ধারণ করা কোনো মুহূর্তের নয় নয় বরং এআই প্রযুক্তির সহায়তায় দুইজনের আলাদা দুটি ছবি থেকে আলোচ্য ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।
ছবিটী রিভার্স ইমেজ সার্চ এর মাধ্যমে ফেসবুকে একটি গ্রুপে আলোচ্য ছবিটির মূল সংস্করণের একটি ছবি পাওয়া যায়। ছবিটির নিচের ডান দিকের কোণে গুগলের AI অ্যাসিস্ট্যান্ট ও জেনারেটিভ চ্যাটবট 'জেমিনি'র লোগো দেখতে পাওয়া যায়। স্ক্রিনশট দেখুন--
গুগলের জেনারেটিভ টুলগুলো তাদের ইমেজ কন্টেন্টে সাধারণ ওয়াটারমার্কিংয়ের পাশাপাশি 'SynthID' নামক এক ধরণের ওয়াটারমার্কিং ব্যবহার করে যা খালি চোখে শনাক্ত করা যায়না। তবে গুগলের SynthID ডিটেকশন টুল সেটি শনাক্ত করতে পারে। এই প্রক্রিয়ায় যাচাই করলে টুলটি আলোচ্য ছবিটি 'গুগলের এআই ইমেজ জেনারেটিভ মডেল ব্যবহার করে তৈরি' বলে ফলাফল দিয়েছে এবং ছবিতে SynthID শনাক্ত করেছে। দেখুন--
জেমিনির ২.৫ ফ্ল্যাশ মডেল আলাদা দুইটি ছবি থেকে একটি বাস্তবের ন্যায় ছবি তৈরির জন্য পরিচিত। ফলে ছবিতে প্রদর্শিত দুইজনের ছবি আলাদা আলাদা করে রিভার্স সার্চের মাধ্যমে আলোচ্য ছবিতে ব্যবহৃত ড. জাহেদ উর রহমান ও রুমিন ফারহানা'র মূল একক ছবি দুইটি আলাদা আলাদা দুটি সাইটে পাওয়া যায়। দেখুন--
অর্থাৎ ছবিটি এআই প্রযুক্তিতে তৈরি।
সুতরাং সামাজিক মাধ্যমে এআই প্রযুক্তিতে তৈরি ছবিকে বাস্তবে ধারণ করা ছবি হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর।