ঘূর্ণিঝড় নিয়ে ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে যমুনা টিভির লোগো যুক্ত ফটোকার্ড প্রচার

সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম যমুনা টেলিভিশনের লোগো যুক্ত একটি ফটোকার্ড পোস্ট করা হচ্ছে যেখানে লেখা রয়েছে, "ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হাসিনা, খুব দ্রুত বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে"। এরকম কয়েকটি ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে।

গত ১৩ আগস্ট ফেসবুকের একটি গ্রুপে 'Md. Abdullah Abu Sayed' নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়, "ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হাসিনা, শক্তিশালী হয়ে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। খুব দ্রুত বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে"। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--

ফ্যাক্ট চেক:

বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম যমুনা টিভির লোগো ব্যবহার করে গণমাধ্যমটির ফটোকার্ডের আদলে আলোচ্য ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। ফটোকার্ডটি তাদের বানানো নয় বলেও যমুনা টেলিভিশনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া, আলোচ্য দাবি অনুযায়ী অন্যকোনো গণমাধ্যমেও এ ধরণের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

ফটোকার্ডটিতে উল্লিখিত ১৩ আগস্ট অনুযায়ী 'যমুনা টেলিভিশন' এর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে সার্চ করে এই তথ্য সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড পাওয়া যায়নি। এছাড়া কি-ওয়ার্ড সার্চ করে বাংলাদেশের অন্য কোনো গণমাধ্যমেও আলোচ্য নাম ও তথ্য সম্বলিত ঘূর্ণিঝড়ের কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তবে 'যমুনা টেলিভিশন' এর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে সার্চ করে গত ১৩ আগস্ট প্রকাশিত আলোচ্য ফটোকার্ডটি যে তাদের নয় এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট পাওয়া যায়। পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--

অর্থাৎ যমুনা টেলিভিশনের ফটোকার্ড সম্পাদনা করে আলোচ্য বানোয়াট ঘূর্ণিঝড়ের তথ্য সম্বলিত ফটোকার্ড প্রচার করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য সার্চ করে দেখা গেছে, মিম হিসেবে প্রচার করা হলেও পরবর্তীতে এটি বিভিন্নভাবে রূপান্তর হয়ে ফটোকার্ডের কারণে গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ হিসেবে প্রচার করার ফলে ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।

সুতরাং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য জুড়ে দিয়ে যমুনা টেলিভিশনের লোগো যুক্ত করে তাদের ফটোকার্ডের আদলে ফটোকার্ড তৈরি করে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।