ইন্দোনেশিয়ার ভিডিও দিয়ে মাগুরায় ইমামকে ছুরিকাঘাত বলে প্রচার
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ভিডিওটি বাংলাদেশের নয় বরং এটি ইন্দোনেশিয়ার একটি মসজিদের সিসিটিভিতে ধারণ করা পুরোনো ফুটেজ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি ও পেজ থেকে একজন নামাজরত ব্যক্তিকে অপর এক ব্যক্তির ছুরিকাঘাতের একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, এটি মাগুরায় এশার নামাজের মধ্যে মসজিদের ইমামকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনা। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর ‘Mazharul Islam Hridoy’ নামক একটি পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করে উল্লেখ করা হয়, “আজ মাগুরায় এশার নামাজের মধ্যে মসজিদের ইমামকে ছুরিকাঘাত।কোথায় নিরাপত্তা পাবে মানুষ....?” নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে আলোচ্য ভিডিওটি মাগুরায় এশার নামাজের মধ্যে মসজিদের ইমামকে ছুরিকাঘাতের ঘটনার নয় বরং এটি গত আগস্ট মাসে ইন্দোনেশিয়ার উত্তর মোরোয়ালি জেলার একটি মসজিদের ঘটনা, যা সিসিটিভিতে ধারণ করা হয়।
ভাইরাল ভিডিওটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে “A Koran teacher in North Morowali was stabbed while leading morning prayers. The perpetrator is suspected of testing positive for drugs” শিরোনামে ইন্দোনেশিয়াভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ‘JALURINFO SULBAR’ এর অনলাইনে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। গত ২৬ আগস্ট প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রকাশিত ছবির সঙ্গে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিওর দৃশ্যের মিল পাওয়া যায়। যেখানে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ার উত্তর মোরোয়ালি জেলার একটি মসজিদের পুরোনো সিসিটিভি ফুটেজের দৃশ্য। স্ক্রিনশট দেখুন--
রিভার্স ইমেজ সার্চে “Viral, Imam Masjid di Morowali Utara Ditikam saat Pimpin Salat Subuh” শিরোনামে ইন্দোনেশিয়ার আরেক সংবাদ মাধ্যম ‘IDN Times’ এর অনলাইনে আরো একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। গত ২৬ আগস্ট প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রকাশিত ছবির সঙ্গেও আলোচ্য ভিডিওর মিল পাওয়া যায়। যেখানে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ার উত্তর মোরোয়ালি জেলার একটি মসজিদের একজন ইমামকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্ক্রিনশট দেখুন--
এছাড়াও কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ‘TRIBUNNEWS.COM’, ‘Detikcom’, ‘Official iNews’ অনলাইনেও একই তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। এসব প্রতিবেদনে প্রকাশিত ছবি এবং ভিডিওর সঙ্গে ভাইরাল ভিডিওর দৃশ্যের মিল পাওয়া যায়।
অর্থাৎ ভাইরাল ভিডিওটি বাংলাদেশের মাগুরার কোনো ঘটনার নয়। বরং এটি ইন্দোনেশিয়ার উত্তর মোরোয়ালি জেলার একটি মসজিদের পুরোনো ঘটনার ভিডিও।
সুতরাং ইন্দোনেশিয়ার একটি মসজিদে ইমামকে ছুরিকাঘাত করার ভিডিও দিয়ে ঘটনাটি বাংলাদেশের মাগুরার বলে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।