বিভ্রান্তিকর তথ্যসহ সময় টিভির নকল ফটোকার্ড প্রচার
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, সময় টেলিভিশনের ফটোকার্ড ফরম্যাট সম্পাদনা করে বানোয়াট তথ্যসহ প্রচার করা হচ্ছে।

সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম সময় টেলিভিশনের লোগোসহ একটি ফটোকার্ড শেয়ার করা হচ্ছে, যেখানে লেখা রয়েছে "শি জিনপিংকে চীনা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে ভুলে ড: মুহাম্মদ ইউনুসকে জানিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদি"। এরকম ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে।
গত ২৯ জানুয়ারি 'Mohammad Anamul Hoque' নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আলোচ্য ফটোকার্ডটি পোস্ট করা হয়েছে। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ফটোকার্ডটি নকল অর্থাৎ সঠিক নয়। বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম 'সময় টেলিভিশন' এর ফটোকার্ড ফরম্যাট ব্যবহার করে এটি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও আলোচ্য ফটোকার্ডটি তাদের তৈরি করা নয় বলে গণমাধ্যমটির অনলাইনের কো-অর্ডিনেটর সায়েদুল মাহমুদ মামুন বুম বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন।
ফটোকার্ডে উল্লিখিত তারিখ (২৯ জানুয়ারি) অনুযায়ী সময় টেলিভিশন এর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে খুঁজে এমন তথ্য সংশ্লিষ্ট কোনো ফটোকার্ড গণমাধ্যমটির ফেসবুকে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি সার্চ করে সময় টেলিভিশনসহ কোনো গণমাধ্যমের কোনো সংস্করণেই আলোচ্য দাবির বিষয়ে কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে গণমাধ্যমটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত অন্য একটি ফটোকার্ডের সাথে আলোচ্য ফটোকার্ডটির ডিজাইন, ফন্ট সহ বিভিন্ন বিষয়ে কয়েকটি অসঙ্গতি পাওয়া যায়। আলোচ্য ফটোকার্ড (বামে) ও গণমাধ্যমটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ডের (ডানে) পাশাপাশি তুলনা দেখুন--
ফটোকার্ডটির বিষয়ে জানতে চাইলে সময় টেলিভিশনের অনলাইনের কো-অর্ডিনেটর সায়েদুল মাহমুদ মামুন বুম বাংলাদেশকে আলোচ্য ফটোকার্ডটি তাদের নয় বলে নিশ্চিত করেন।
অর্থাৎ আলোচ্য ফটোকার্ডটি সময় টেলিভিশনের ফটোকার্ড ফরম্যাট ব্যবহার করে সম্পাদনার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। ফটোকার্ডে উল্লিখিত তথ্যটিও ভুয়া ও বানোয়াট।
উল্লেখ্য দৈনিক প্রথম আলোর ২৭ জানুয়ারির এক প্রতিবেদনে প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের বরাতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে লেখা এক চিঠির (শুভেচ্ছা কার্ড) মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইংরেজি নববর্ষ-২০২৫ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
সুতরাং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় টেলিভিশনের ফটোকার্ড ফরম্যাটে সম্পাদনার মাধ্যমে বিকৃত করে ভুয়া তথ্য জুড়ে দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।