BOOM Bangladesh
  • ফেক নিউজ
  • ফ্যাক্ট ফাইল
  • শরীর স্বাস্থ্য
  • Home-icon
    Home
  • Authors-icon
    Authors
  • Contact Us-icon
    Contact Us
  • Correction Policy-icon
    Correction Policy
  • ফেক নিউজ-icon
    ফেক নিউজ
  • ফ্যাক্ট ফাইল-icon
    ফ্যাক্ট ফাইল
  • শরীর স্বাস্থ্য-icon
    শরীর স্বাস্থ্য
  • Home
  • ফেক নিউজ
  • জুলাই মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন...
ফেক নিউজ

জুলাই মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন টাকা ছাপানোর দাবিটি ভিত্তিহীন

বুম বাংলাদেশ করেছে, বাজেটের পর জুলাই মাসের প্রথম ১৮ দিনে বাংলাদেশ ব্যাংক ১০ হাজার ৮শ' কোটি টাকা ছাপানোর দাবিটি সত্য নয়।

By - Mamun Abdullah |
Published -  25 July 2023 3:34 PM IST
  • জুলাই মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন টাকা ছাপানোর দাবিটি ভিত্তিহীন

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি, পেজ এবং গ্রুপ থেকে পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, বাজেটের পর নতুন অর্থবছরে চলতি জুলাই মাসের প্রথম ১৮ দিনে বাংলাদেশ ব্যাংক ১০ হাজার ৮০০ কোটি টাকার নতুন নোট ছাপিয়েছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বাজার অর্থনীতিতে। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

    গত ২২ জুলাই 'Muhammad Miraj Mia' নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করে দাবি করা হয়, “…আপনারা জানেন এই মাসের প্রথম আঠারো দিনে বাংলাদেশ ব্যাংক ১০ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ছাপিয়েছে। ভাবা যায় এক অর্থবছরের মোট সম্পদ অপরিবর্তিত রেখে এতো অতিরিক্ত টাকা কেন ছাপাচ্ছে সরকার? এমনকি গত বছরের জুলাই মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছাপিয়েছিলো ৫০ হাজার কোটি টাকা! অতিরিক্ত টাকা ছাপালে কিভাবে মূল্যস্ফীতি হয় পুরো বিষয়টি একটু ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি…”। পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--



    ফ্যাক্ট চেক:

    বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, সদ্য সমাপ্ত অর্থ বছরে সরকার ৯৮ হাজার ৮২৬ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের জন্য অর্থ ছাপানো বন্ধ করে দেয়। বাজেটের পর নতুন অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক'কে ৭ হাজার ৪৪ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে সরকার। এই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন করে কোনো টাকা ছাপায়নি।

    কি-ওয়ার্ড সার্চ দিয়ে "BB halts printing money after FY23 binge" শিরোনামে ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-এ একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এতে বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ সালের সদ্য সমাপ্ত অর্থ বছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ৯৮ হাজার ৮২৬ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের জন্য অর্থ ছাপানো বন্ধ করেছে। পাশাপাশি এই প্রতিবেদনে আরো বলা হয় চলতি জুলাই মাসের প্রথম ১৮ দিনে বাংলাদেশ ব্যাংক'কে ৭ হাজার ৪৪ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ সরকার, এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ সরকারের ঋণ নেয়ার যে নির্ভরতা কমেছে সে বিষয়টিকে ইঙ্গিত করছে। স্ক্রিনশর্ট দেখুন--


    অর্থাৎ এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি জুলাই মাসে কোনো নতুন টাকা ছাপায়নি বরং এই সময়ে বাংলাদেশ সরকার উল্টো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করেছে।

    সুতরাং সামাজিক মাধ্যমে নতুন অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারকে ঋণ দেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন করে টাকা ছাপানোর দাবিটি বিভ্রান্তিকর।

    Tags

    False Claim
    Read Full Article
    Claim :   [160] হঠাৎ করে কেনই-বা কোটি কোটি টাকা ছাপাচ্ছে সরকার! কী ঘটতে পারে অর্থনীতিতে? আপনারা জানেন এই মাসের প্রথম আঠারো দিনে বাংলাদেশ ব্যাংক ১০ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ছাপিয়েছে। ভাবা যায় এক অর্থবছরের মোট সম্পদ অপরিবর্তিত রেখে এতো অতিরিক্ত টাকা কেন ছাপাচ্ছে সরকার? এমনকি গত বছরের জুলাই মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছাপিয়েছিলো ৫০ হাজার কোটি টাকা! অতিরিক্ত টাকা ছাপালে কিভাবে মূল্যস্ফীতি হয় পুরো বিষয়টি একটু ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি। মনে করুন, বাংলাদেশে পণ্য হিসেবে শুধু আপেল উৎপাদিত হয়। ধরি বাংলাদেশে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে আপেল উৎপাদিত হয়েছে ১০ কেজি। এবং সরকার এ বছর মোট ১০০০ টাকা ছেপেছে। তাহলে ক্রয় করার মতো টাকা আছে ১০০০, পণ্য আছে ১০ কেজি। তাহলে প্রতি কেজি আপেল হবে ১০০ টাকা। সরকার যদি ২০০০ টাকা ছাপাতো, প্রতি কেজি মানুষ কিনতে পারতো ২০০ টাকা করে। অর্থাৎ টাকা বেশি থাকলে পণ্যের মূল্য বেড়ে যায়, টাকার মূল্য কমে যায়। এটা ইকোনমিতে Quantity of Money Equation হিসেবে পরিচিত। যেখানে একটা দেশের সম্পদ বা GDP হুট করে বেড়ে যায় না। সেক্ষেত্রে টাকার সরবরাহ বেড়ে গেলে Price level বেড়ে যাবে। তাই টাকার বিপরীতে পণ্যের দাম বেড়ে গিয়ে টাকার অবমূল্যায়ন ঘটে। উদাহরণস্বরূপ: গত কয়েকবছর আগে জিম্বাবুয়ের সরকার সিদ্ধান্ত নিলো টাকা ছাপিয়ে তারা দেশের উন্নয়ন করে ফেলবে। তারা প্রচুর টাকা ছাপাতে শুরু করলো। কিন্তু মোট উৎপাদন বৃদ্ধি পায়নি। ফলশ্রুতিতে দেখা গেলো মানুষের হাতে প্রচুর পরিমাণে টাকা। অন্যদিকে পণ্যের পরিমাণ আগের মতোই। তাই দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়তে লাগলো। এবং বাড়তে বাড়তে একসময় দেখা গেলো এক বস্তা টাকা দিয়ে মাত্র এক কেজি আটা কিনা যাচ্ছে। এখন বাংলাদেশ এরকম কোন পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে কিনা আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন। আপনারা জানেন বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বণের যে রেকর্ড মূল্য বৃদ্ধি তা মূলত এর প্রভাবেই। স্বর্ণের দাম প্রতি ভরি ০১ লক্ষ ৭৭৭ টাকা হয়ে গিয়েছে। মুদ্রার মানও দিনদিন কমছে। তই এর ফলে বর্তমানে অর্থনীতিতে কী ধরনের প্রভাব পরছে? কি ঘটতে পারে ভবিষ্যতে? এই পুরো বিষয়টি একদম সহজ করে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি ভিডিওতে। ভিডিও লিংক প্রথম কমেন্টে!
    Claimed By :  Facebook Post
    Fact Check :  False
    Next Story
    Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors.
    Please consider supporting us by disabling your ad blocker. Please reload after ad blocker is disabled.
    X
    Or, Subscribe to receive latest news via email
    Subscribed Successfully...
    Copy HTMLHTML is copied!
    There's no data to copy!