না, ছবিটি ভারতে মুসলিম নির্যাতনের নয় বরং দলিত চার যুবকের
ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্রে ছবিটি চার দলিত যুবকের বলে নিশ্চিত হয়েছে বুম বাংলাদেশ; মুসলিম নির্যাতনের বলা বিভ্রান্তিকর।
![না, ছবিটি ভারতে মুসলিম নির্যাতনের নয় বরং দলিত চার যুবকের না, ছবিটি ভারতে মুসলিম নির্যাতনের নয় বরং দলিত চার যুবকের](https://www.boombd.com/h-upload/2021/09/09/957212-dalit.webp)
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি ছবি দিয়ে দাবি করা হচ্ছে, এটি ভারতে মুসলিম নির্যাতনের ছবি। দেখুন এরকম দুটি পোস্ট এখানে এবং এখানে।
গত ৩০ আগস্ট 'স্বপ্নের নবীনগর-মানবতার কল্যাণে' নামের ফেসবুক গ্রুপে একটি ছবি পোস্ট করে বলা হয়, 'এই হলো ভারতীয় মুসলমান ভাইদের অবস্থা, আল্লাহ আপনি তাদের হেফাজত করুন আমিন'। অর্থাৎ দাবি করা হচ্ছে, ছবিটি ভারতীয় মুসলিমদের ছবি। দেখুন পোস্টটির স্ক্রিনশট--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, পোস্টটি বিভ্রান্তিকর। গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ছবিটি ২০১৬ সালে ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যমে পাওয়া গেছে। তন্মধ্যে 'মুসলিম মিরর' নামের একটি সংবাদমাধ্যমে এই ছবিসহ একটি খবর প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালের জুলাই মাসে। এতে বলা হয়, গুজরাটের আহমেদাবাদে চারজন দলিত সম্প্রদায়ের যুবককে এভাবে বেঁধে রাখা হয়। দেখুন খবরটির স্ক্রিনশট--
মুসলিম মিররের খবরটি পড়ুন এখানে।
এরআগে একাধিক ছবিসহ এ সংক্রান্ত একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন করে ইন্ডিয়া টাইমস। সেখানে বলা হয়, গরুর চামড়া ছাড়ানোর কাজ করা চার দলিত যুবককে গরু চুরির অভিযোগে আটকে রাখে স্থানীয় গো-রক্ষক সমিতির কয়েকজন সদস্য। তবে নির্যাতিত ব্যক্তিরা এবং পুলিশ উভয়েই এই অভিযোগ নাকচ করে দেয়। দলিত যুবকদের দাবি, পেশাগত কাজের অংশ হিসেবেই তারা মরা গরুটিকে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিলেন। পরবর্তীতে সেই গো-রক্ষক সমিতির তিনজনকে উল্টো গ্রেফতার করে স্থানীয় প্রশাসন। দেখুন খবরটি--
এছাড়া প্রতিবেদনটির সাথে সেই চার যুবককে আটকে নির্যাতন করার একটি ভিডিও যুক্ত করা হয়েছে। দেখুন--
উল্লেখ্য তৎকালে ঘটনাটি খুব আলোচিত হয়েছিল এবং এ নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমে অসংখ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।
এদিকে ছবিটিকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে চিহ্নিত করে এরইমধ্যে ফ্যাক্টচেক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে এএফপি বাংলাদেশ। রিপোর্টটি দেখুন এখানে।
অর্থাৎ গুজরাটের চারজন দলিত সম্প্রদায়ের যুবককে নির্যাতন করার ছবিকে ভারতীয় মুসলিম হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।